করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আর সেখানে আক্রান্ত শিশুদের রেজনেসিভির দেওয়ার কোনও পরামর্শ দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে এইচআরসিটি (HRCT) ইমেজের ব্যবহারের উপযুক্ত ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেনালের দেওয়া এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অসম্পূর্ণ ও হালকা সংক্রমণের ক্ষেত্রেও স্টেরয়েডগুলি ক্ষতিকারক।
স্টেরয়েড প্রয়োগ
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী মধ্যপন্থী থেকে গুরুতর কোভিড আক্রান্তদে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় স্টেরয়েড দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে স্টেরয়েডগুলি সঠিক সময় সঠিক ডোজ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এজাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতেও নিষেধ করা হয়েছে।
রেমডেসিভির ব্যবহার
কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে রেমডেসিভির শিশুদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ না করাই শ্রেয়। শিশুদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির প্রয়োগ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির যথেষ্ট সুরক্ষা আর কার্যকারিতা সম্পর্কিত তথ্যের অভাব রয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে এই ওষুধটি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সিটিস্ক্যান
গাইডলাইগুলিচে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের ফুসফুসের সম্পৃক্ততার পরিমাণ ও প্রকৃতি দেখার জন্য উচ্চ রেজোলিউশন সিটি (HRCT)র যৌক্তির ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে বুকের HRCT বা সিটি স্ক্যান থেকে প্রাপ্ত কোনও অতিরিক্ত তথ্য চিকিৎসার সিদ্ধান্তগুলিতে প্রায়শই খুব সামান্য প্রভাব ফেলে যা প্রায় সম্পূর্ণ কিনিক্যাল তীব্রতা ও শারীরিক দুর্বলাতর ওপর ভিত্তি করে। আর সেই কারণে সিটিস্ক্যানের নির্দেশ দেওয়ার আগে চিকিৎসকদের অত্যান্ত সচেতন হওয়া জরুরি বলেও জানান হয়েছে।
অসম্পূর্ণ ও হালকা আক্রান্তদের জন্য
গাইডলাইনে বলা হয়েছে কোভিড ১৯ একটি ভাইরাল সংক্রমণ।এর সঙ্গে অ্যান্টিমাইক্রোবায়ালের কোনও ভূমিকা নেই। তাই ক্লিনিক্যাল সন্দেহ না থাকলে অ্যান্টিমাক্রোবায়ালগুলি নির্ধারণ করা ঠিক নয়। নির্দেশিকায় হালকা ও উপসর্গবিহীন কোভিড আক্রান্তদের জন্য নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়নি। তবে মাস্ক পরা ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিশুদের পুষ্টিকর খাবারের দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৃদু উপসর্গ থাকা রোগীদের জ্বর ও গলা ব্যথা হলে প্রতি ৪-৫ ঘণ্টা অন্তর প্যারসিটামল দেওয়া য়েতে পারে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে গুরুতর সংক্রমণ থাকলে রোগীদের শ্বাসকষ্ট থাকলে দ্রুততার সঙ্গে অক্সিজেন থেরাপি শুরু করা জরুরি।