Covid-19: মার্চেই মায়া শেষ, সাধারণ রোগে পরিণত হবে কোভিড, কী বলছে ICMR

মার্চের মাঝামাঝি কোভিড সাধারণ রোগে পরিণত হবে। ১১ মার্চের পর থেকে ভারতে  সাধারণ রোগে পরিণত হতে পারে কোভিড বলে জানিয়েছে  আইসিএমআর-র অতিমারি বিভাগের  প্রধান সমীরণ পাণ্ডা।

 

Web Desk - ANB | Published : Jan 19, 2022 8:24 AM IST / Updated: Jan 19 2022, 01:55 PM IST

মার্চের মাঝামাঝি কোভিড ( Covid-19 )সাধারণ রোগে পরিণত হবে। এমনটাই দাবি করেছে আইসিএমআর অর্থাৎ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ। ১১ মার্চের পর থেকে ভারতে  সাধারণ রোগে পরিণত হতে পারে কোভিড বলে জানিয়েছে  আইসিএমআর-র অতিমারি বিভাগের  প্রধান সমীরণ পাণ্ডা ( ICMR Scientist)।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে আইসিএমআর-র অতিমারি বিভাগের  প্রধান সমীরণ পাণ্ডা বলেছেন, অনুমান করে নেওয়া হচ্ছে ওমিক্রনের প্রভাবে ভারতে ১১ ডিসেম্বরের থেকে শুরু করে তিন মাস ধরবে। অর্থাৎ ১১ মার্চের পর এই রোগ থেকে কিছুটা অব্যহাতি পাওয়া যেতে পারে। তিনি আরও বলেছেন,  ১১ মার্চের পর থেকে কোভিড-১৯ সাধারণ রোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে অনেকগুলি বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। কোভিডের যাতে নতুন ভ্যারিয়েন্ট আর্বিভূত না হয় এবং ওমিক্রণ রূপ ডেলটা রূপকে প্রতিস্থাপন করে তখনই কোভিড একটি সাধারণ রোগে পরিণত হতে পারে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি। 

আরও পড়ুন, কোভিড কি শুক্রাণুর সংখ্যা ও পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

সমীরণ পাণ্ডা আরও বলেছেন, কোভিড-১৯ ভারতে একটি সাধারণ রোগে পরিণত হলে তুলনামূলকভাবে সংক্রমণের মাত্রা কমে আসবে। একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে। দিল্লি, মুম্বইয়ে করোনা স্ফীতি শীর্ষে পৌছেছে কিনা , সেটা এখনওই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তা জানতে আরও দুই সপ্তাহ আমাদের অপেক্ষা করে থাকতে হবে। আমরা কেবল কয়েকটি দিনের আক্রান্ত সংখ্যা এবং সংক্রমণের হার কমার উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছতে পারি না। দিল্লি এবং মুম্বইয়ে ডেলটা ও ওমিক্রণের অনুপাত ৮০ শতাংশ-২০ শতাংশ। এই মুহূর্তে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যগুলি বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তাই এখনই কিছু জানানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। 

প্রসঙ্গত,  কোভিডের প্রথম অভিজ্ঞতায় আঁতকে উঠেছিল সারা ভারত এবং গোটা বিশ্ব। তবে প্রথমবারের অভিজ্ঞতার পর কিছুটা হলেও যখন ভয় কমে এসেছে, তখনই হড়কাবাণের মতো সব থেকে বেশি হিংস্র কামড় দেয় করোনাভাইরাস। কোভিডের দ্বিতীয় বর্ষে আলফা অভিজ্ঞতার পর যখন ডেলটা এসে ঢেউ দিয়েছিল, সারা ভারতে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছিল। প্রচুত মৃত্যু হয়েছে। শ্মশানঘাটেও উপচে পড়ে ভীড়। কিন্তু অদ্ভুৎ বিষয় তৃতীয় বর্ষে গতবারের থেকেও সময় আন্দাজে সংক্রমণের হার বেশি। তবে তুলনায় মৃত্য়ু হার কমেছে। তাহলে এবার প্রশ্নটা উঠেই যায়, এটাই কি সেই ভয়াবহতা কমার ইঙ্গিত, ওমিক্রণ রূপ ডেলটা রূপকে প্রতিস্থাপন করতে কি তাহলে আর বেশি দিন বাকি নেই। আশার আলো দেখতে পেয়েছে আইসিএমআর। আর সেই আশাতেই ঘর বেধঁছে এবার দেশবাসী।

Share this article
click me!