'বায়ুবাহিত করোনা' - একবছর পর নতুন প্রমাণ, প্রোটোকল বদলে দিল কেন্দ্র

এর আগে কোভিড-১৯ প্রোটোকল প্রকাশ করা হয়েছিল গত বছরের জুন মাসে

বলা হয়েছিল করোনাভাইরাস সংক্রমণ 'বায়ুবাহিত' নয়

এদিন সেই নির্দেশনায় বদল আনল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

নতুন করোনা ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকলে কী বলা হল

আর কোনও ধন্দ রাখল না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সোমবার, কোভিড -১৯ এর যে সর্বশেষ ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল প্রকাশ করল মন্ত্রক, তাতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মূলত 'বায়ুবাহিত' পথে হয় বলে সাফ জানানো হল। বলা হয়েছে, সংক্রামিত ব্যক্তি হাঁচি, কাশি এবং কথা বলার সময় ড্রপলেট অর্থাৎ জলকনাগুলি মুখ থেকে ছিটকে বের হয়ে বায়ুপথে ভেসে গিয়ে অন্য ব্যক্তিকে সংক্রামিত করতে পারে।

এর আগে, গত বছরের জুন মাসে প্রকাশিত কোভিড-১৯ ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছিল, করোনা সংক্রমণ বায়ুবাগহিত নয়, মূলত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমেই ছড়ায়। সেইক্ষেত্রেও সংক্রামিত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি এবং কথা বলার সময়ই ড্রপলেট বা জলকনাগুলির মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায় বলা হয়েছিল। তবে বায়ুবাহিত পথে নয়, ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সময় মুখ থেকে ছিটকে জলকণাবাহিত ভাইরাস সরাসরি অন্য ব্যক্তির শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে, তাকে সংক্রামিত করে, এমনটাই বলেচিল মন্ত্রক। কাজেই এদিন আগের অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে আসল কেন্দ্র।

Latest Videos

সংশোধিত কোভিড-১৯ ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকলে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রমাণগুলি থেকে বোঝা গিয়েছে, করোনাভাইরাস সাধারণত ১ মিটারের মতো স্বল্প-পরিসীমার মধ্যে থাকা দুই ব্যক্তির মধ্যে সংক্রামিত হতে পারে। ওই অল্প দূরত্ব থেকে যদি কেউ তাদের ভাইরাসযুক্ত অ্যারোসোল বা জলকনাগুলি কেউ শ্বাসের মাধ্যমে টেনে নেন, কিংবা চোখ, নাক বা মুখের সরাসরি সংস্পর্শে আসে। তবে, বদ্ধ জায়গায়, যেখানে বাতাস চলাচল কম হয়, সেখানে বাতাসের মাধ্যমেও করোনা ছড়াতে পারে। কারণ সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে   জলকনার মাধ্যমে বাইরে আসা ভাইরাসগুলি বাতাসে জমে থাকে। সম্প্রতি সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার কার্যালয়ের জারি করা এক গাইডলাইনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মুখ নিঃসৃত জলকনার মাধ্যমে বাতাসে ১০ মিটার দূর পর্যন্ত বাহিত হতে পারে।

এছাড়া হালকা সংক্রমণের ক্ষেত্রে আক্রান্ত রোগীদের জন্য, দিনে একবার করে খালি পেটে ৩ থেকে ৫ দিনের জন্য আইভারমেকটিন (Ivermectin) ট্যাবলেট খাওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলারা অবশ্য তা খাওয়া যাবে না। নতুন প্রোটোকলে আরও বলা হয়েছে, হালকা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ওরাল স্টেরয়েডগুলিও দেওয়া উচিত নয়। যদি ৭ দিনের বেশি অবিরাম জ্বর, ক্রমবর্ধমান কাশির মতো উপসর্গ অব্যাহত থাকে, তাহলে কম ডোজের ওরাল স্টেরয়েড দেওয়া যেতে পারে। প্লাজমা থেরাপিকে কোভিডের চিকিৎসা পদ্ধতির তালিকা থেকে প্রচলিত বাদ দেওয়া হয়েছে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

Mamata Banerjee-র প্রশাসনকে বেলাগাম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর, দেখুন কী বললেন BJP নেত্রী
হিন্দুদের পাশে থাকায় শুভেন্দুকে প্রাণ নাশের হুমকি, দেখুন জবাবে কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
North Sonarpur Book Fair 2024: উত্তর সোনারপুর বইমেলা শুরু! ছোটদের বইমুখী করতে নতুন চমক, দেখুন
শতবর্ষে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী Atal Bihari Vajpayee, শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্র নেতাদের | PM Modi News
'লুঙ্গিতে গিট বেঁধে আসুক, না হলে ওদের লুঙ্গিকে প্যারাসুট বানিয়ে ছেড়ে দেব' | Sukanta Majumdar Today