কোভিড পজিটিভ হলে কবে নেওয়া যাবে টিকা, কোভিশিল্ড নিয়েও নয়া নির্দেশ কেন্দ্রের

করোনা আক্রান্ত হলে টিকা নেওয়া যাবে

যদি নেওয়া যায়, কবে নিতে হবে

এই বিষয়েই স্পষ্ট জবাব দিল কেন্দ্র

কোভিশিল্ড-এর দুটি ডোজের মধ্য়ে ফের সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হল

 

amartya lahiri | Published : May 13, 2021 6:23 AM IST

ভারতে বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক সকলকেই করোনা টিকা দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সমস্যা হল করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ যেভাবে সুনামির ঢেউ-এর মতো আছড়ে পড়েছে ভারতে, তাতে টিকা নেওয়ার আগেই অনেকে সংক্রমিত হয়ে পড়ছেন। তাই অনেকের মনেই এখন প্রশ্ন জাগছে, করোনা আক্রান্ত হলে টিকা নেওয়া যাবে তো? নিলে কবে নিতে হবে? এই বিষয়েই বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জবাব দিল কেন্দ্রীয় সরকারের প্যানেল। একইসঙ্গে কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজের নেওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান আরও বাড়ানোর পরামর্শ দি তারা।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এদিন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত দের টিকা নিতে কোনও অসুবিধা নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর অন্তত ৬ মাস অপেক্ষা করা উচিত টিকা নেওয়ার জন্য। এর আগে মার্কিন সিডিসি জানিয়েছিল, কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে যাদের উপসর্গ রয়েছে, তাদের সেই উপসর্গ সম্পূর্ণ দূর হলে তবেই টিকা নেওয়া উচিত। ভারতের আইআইএসইআর বলেছিল, করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর অন্তত ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ অপেক্ষা করা উচিত টিকা নেওয়ার জন্য।

তবে কেন্দ্রের এদিনের পরামর্শের পিছনে বিজ্ঞান নয়, অন্য কারণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কোভিড আক্রান্তদের দেহে এমনিতেই কোভিডডের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মায়। বেশিরভাগ গবেষকদের দাবি, এই অনাক্রম্যতা অন্তত ৬ মাস স্থায়ী হয়। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে ধ্বস্ত ভারতে, টিকার চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে বড় ফারাক তৈরি হয়েছে। তাই করোনা আক্রান্তদের এই মুহূর্তে টিকা দিতে চাইছে না কেন্দ্র, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

আর ঠিক একই কারণে, এদিন টিকাকরণ নিয়ে কেন্দ্রের দ্বিতীয় সিদ্ধান্তটিও এসেছে। আগেই কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ করার সুপারিশ করেছিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার, এই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করতে বলা হয়েছে। তবে কোভ্যাক্সিন নিয়ে এরকম কোনও নির্দেশ আসেনি। দেশব্যপী টিকার যে আকাল দেখা দিয়েছে, তাতে চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিয়ে উঠতে পারছে না সিরাম ইনস্টিটিউট। তার জন্যই তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার এই সময়সীমা বাড়ানো হল বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল।

Share this article
click me!