করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই সাফল্য এনেছে, যুদ্ধ জয়ের পর বললেন 'টিচার আম্মা'

নিপার পর করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতেও সফল
কেরলের স্বাস্থ্য মন্ত্রী কেকে শৈলজা
স্থানীয়দের কাছে টিচার আম্মা
পরিকল্পনা করে লড়াইয়ে এসেছে সাফল্য 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইটা খুব একটা সহজ ছিল না। বিদেশ থেকে বা দেশের অন্য রাজ্যগুলি থেকে আসা কেরলের প্রতিটি বাসিন্দার অবস্থান ও তাঁদের চিহ্নিতকরণ করা খুব একটা সহজ নয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমে প্রতিটি মানুষকে চিহ্নিত করেই প্রাথমিক ভাবে যুদ্ধ অনেকটা এগিয়ে যেতে পেরেছিলেন। তেমনই জানালেন কেরলের স্বাস্থ্য মন্ত্রী  কেকে শৈলজা। গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে তিনি অবশ্য টিচার আম্মা। ২০১৮ সালে নিপা ভাইরাসের বিরুদ্ধেও এই মহিলার কঠোর লড়াই আজও মনে রেখেছে কেরলের বাসিন্দারা। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইটা আরও কঠিন ছিল বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী। 

রসায়নের ছাত্রী  কেকে শৈলজা। ২০০৪ সাল পর্যন্ত কেরলেরই একটি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। তারপরই সরাসরি চলে আসেন রাজনীতির ময়দানে। কিন্তু সেখানেও কোনও গাফিলতি দিতে নারাজ শৈলজা। জানিয়েছেন চিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের খবর জানার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে তিনি পড়াশুনা শুরু করেছিলেন। সার্স সম্পর্কেও তিনি পড়াশুনে করেন। তারপরই স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করেন। তখনই স্বাস্থ্য সচিব তাঁকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলেও সরাসরি জানিয়েছেন শৈলজা। তিনি বলেন কেরলের অনেক বাসিন্দাই উনানে থাকে। তাই করোনাভাইরাসকে প্রথম থেকেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন তাঁরা। 
 
শৈলজার কথায় ২৪ জানুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিলেন তাঁরা। আর এই লড়াই ছিল ঐক্যবদ্ধ। জনগণের সঙ্গে সরকারের মেল বন্ধনেই সাফল্য এসেছে বলেও দাবি করেছেন শৈলজা। ২৭ জানুয়ারি উনান থেকে প্রথম ছাত্রটি কেরলে এসে পৌঁছায়। কিন্ত তার আগে ২৪ জানুয়ারি থেকেই তাঁরা কন্ট্রোলরুম খুলেছিলেন।

Latest Videos

২৭ জানুয়ারি, ২ ও ৩  ফেব্রুয়ারি উনান থেকে আসা তিন ছাত্রই করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত ছিল না। কিন্তু প্রথমেই তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হয়। নমুনা পরীক্ষার পর জানা যায় তিন জনই সংক্রমিত। তিন জনেরই চিকিৎসা শুরু করা হয়। যদিও তার আগেই পরিকল্পনা মত সমস্ত সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল বাছাই করা হয় যেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হবে। পাশাপাশি বিমান বন্দর ও রেল স্টেশনগুলিতেই বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।  সংক্রমিতদের প্রথম থেকেই আলাদা করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। 

শৈলজার কথায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধ প্রথম থেকেই লড়াই শুরু করা হয়েছিল। তবে তিনিই ছিলেন সামনের সারিতে। সরকারি এক কর্তার কথায় সমস্ত রাত ২টো ২.৩০ পর্যন্ত কাজ করতেন তিনি। আবার সকাল ৭টার মধ্য়েই অফিসে চলে আসতেন।  যখনতখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যেত। কারণ স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নম্বর রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের কাছেই রয়েছে।  তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কথায় কেন্দ্রের থেকে তাঁরা আরও সহযোগিতা আশা করেছিলেন। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যে কেন্দ্রে আরও বরাদ্দ বৃদ্ধিরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। কারণ জিডিপির মাত্র এক শতাংশই স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করে কেন্দ্র। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম বলে দাবি টিচার আম্মার। 

Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari Live: সল্টলেকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি শুভেন্দু অধিকারী, দেখুন সরাসরি
‘Trinamool-র ভীত হচ্ছে চোর ডাকাত’ Mamata Banerjee-কে সরাসরি তোপ Agnimitra Paul-এর | Agnimitra Paul
যাকে পায় তাকেই গুঁতাতে যায়, ভোলার তান্ডবে নাজেহাল চুঁচুড়ার মল্লিক কাশেম হাট | Hooghly News
নয়া মোড় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়! পার্থ-অর্পিতাদের বিরুদ্ধে শুরু হলো চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া!
Kolaghat-এ Mamata Banerjee-কে তীব্র আক্রমণ Suvendu Adhikari-র! দেখুন কী বললেন শুভেন্দু