বায়োলজিক্যাল ই-এর কর্বোভ্যাক্সের তৈরি টিকা ১২-১৪ বছর বয়সীদের দেওয়া হবে। ন্যাশানাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুম অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI)১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে বলেও জানিয়েছে সূত্র। সেই সুপারিশ মেনেই এই মঙ্গলবার থেকে এই বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
করোনাভাইরাসে (Coronavirus) টিকাকরণে (Vaccination) চলতি সপ্তাহে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার (Govt India)। ১২-১৪ (12-14) বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হতে পারে ১৬ মার্চ অর্থাৎ বুধবার(Tuesday) থেকে। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রবীণ নাগরিকদের পাশাপাশি দীর্ঘ রোগেভোগা রোগীদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও চলবে। সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন ১৬ মার্চ অর্থাৎ বুধবার থেকেই ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। একই সঙ্গে বুস্টারজোজ যেমন চলছিল তেমই চলবে।
বায়োলজিক্যাল ই-এর কর্বোভ্যাক্সের তৈরি টিকা ১২-১৪ বছর বয়সীদের দেওয়া হবে। ন্যাশানাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুম অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI)১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে বলেও জানিয়েছে সূত্র। সেই সুপারিশ মেনেই এই মঙ্গলবার থেকে এই বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
সূত্রের খবর ১২-১৪ বছর বসয়ীদের টিকাকরণ সম্ভবত বুধবার থেকে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও ৬০ বছরের বেশি বসয়ীদের যে বুস্টার দেওয়ার কাজ চলছে তাও চলবে। গত বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথম ধাপে স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। পরবর্তীকালে ৬০ বছরের বেশি ও দীর্ঘ রোগে ভোগা ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। তারপর কেন্দ্রীয় সরকার ১৮ বছর থেকে বাকিদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তারপই মধ্যে ষাটোর্ধ্বোদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। তারপরি ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হয়। এবার টিকা দেওয়া হবে ১২-১৪ বছর বসয়ীদের।
কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে। প্রথম ডোজ পেয়েছে প্রায় ৯৬ কোটি মানুষ। বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে দেশের ১৯,৯৫৯, ৫৩২ জনকে। খুব তাড়াতাড়ি শিশুদেরও টিকা দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন ভাইরোলজিস্ট টি জ্যাকব। তিনি বলেছেন ভারতে তৃতীয় তরঙ্গ শেষ হচেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোভিডএর অন্য কোনও রূপ দেখা যায়নি। তাতেই আশা করা যায় এই দেশে করোনাভাইরাসের চতুর্থ তরঙ্গ আছড়ে পড়বে না। জ্যাকব আরও বলেন দেশটি মহামারির শেষ পর্বে পৌঁছে গেছে। আর এই দেশে চতুর্থ তরঙ্গের কোনো হুমকি নেই।
জ্যাকব আরও বলেছেন, তিনি মনে করেন, এই দেশে করোনাভাইরাস স্থানীয় একটি রোগে পরিণত হয়েছে। আক্রান্ত ও দৈনিক গড় বিশ্লেষণ করে এই দাবি করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় এই সংখ্যা আগামী চার সপ্তাহ ধরে সামান্য ওঠানামা করবে। তবে তাতে ভয়ের কিছু নেই। আগামী চার সপ্তাহ এটি এই দেশে মহামারির পর্যায়ে থাকবে। ভারতের সমস্ত রাজ্যেই একই প্রবণতা দেখা দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কানাডায় মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা, ঘটনাস্থলে মৃত্যু পাঁচ ভারতীয় পড়ুয়ার
'স্ত্রী মেয়ে নয়', সুপ্রিম কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করে স্বামী জানালেন গোপন রোগের কথা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কি উদ্বেগ বাড়ছে ভারতের, মস্কো নাকি অস্ত্র সাহায্য চেয়েছিল চিনের থেকে