COVID-19 Vaccine: ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত, ২টি টিকা ও ১টি ওষুধকে ছাড় কেন্দ্রের

জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য কোর্বেভ্যাক্স ও কোভোভ্যাক্স টিকাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে অ্যান্ট ভাইরাল ওষুধ মলনুপিরাভিরকেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

Web Desk - ANB | Published : Dec 28, 2021 6:28 AM IST / Updated: Dec 28 2021, 01:06 PM IST

ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই কিছুটা হলেও স্বস্তি। এবার দুটি টিকা ও একটি ওষুধকে ছাড় দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন (CDSCO)। জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য কোরবিভ্যাক্স (CORBEVAX) ও কোভোভ্যাক্স (COVOVAX) টিকাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে অ্যান্ট ভাইরাল ওষুধ মলনুপিরাভিরকেও (Molnupiravir) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে টুইট করে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক মনসুখ মান্ডব্য ( Mansukh Mandaviya)।  আর এর ফলে ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে কিছুটা হলেও দেশবাসীর সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, কর্বেভ্যাক্স ভারতে তৈরি প্রথম ‘আরবিডি প্রোটিন সাব-ইউনিট ভ্যাকসিন’। যা হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিকাল-ই তৈরি করেছে। আর এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমেই টিকা তৈরিতে হ্যাটট্রিক করল ভারত। এটি ভারতে তৈরি করোনার তৃতীয় টিকা।

 

 

তিনি আরও জানান, ন্যানোপার্টিকাল ভ্যাকসিন (Nanoparticle Vaccine) কোভোভ্যাক্স তৈরি করছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে এই টিকাগুলি ব্যবহার করা যাবে। এর পাশাপাশি মলনুপিরাভির নামে একটি অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগেকেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশের ১৩টি সংস্থা এটি তৈরি করবে। জরুরি ভিত্তিতে এটি ব্যবহার করা হবে। তবে এই ওষুধ শিশুদের উপর ব্যবহার করা হবে না। শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্কদেরই জরুরি পরিস্থিতিতে এটি দেওয়া হবে। 

করোনার (Corona) নতুন রূপ ওমিক্রনের (Omicron) আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বের (World)। একাধিক দেশেই থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস (Virus)। এর হাত থেকে রেহাই পায়নি ভারতও (India)। অত্যন্ত দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। একমাসেই বিশ্বের ১১৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। ইতিমধ্যেই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ পার করে গিয়েছে। আর একদিনে দেশে মোট ১৩৫ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। পাশাপাশি আরও দুই রাজ্যে ওমিক্রনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। গোয়া (Goa) ও মণিপুরে (Manipur) ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এর ফলে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওমিক্রন থাবা বসিয়েছে।   

আর এই পরিস্থিতিতে দেশে দু’টি টিকা এবং একটি অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে দেশের করোনা পরিস্থিতি আরও কিছুটা খারাপ হতে পারে। দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনের সংক্রমণ। 

Share this article
click me!