COVID-19 Vaccination Drive: ১ বছরে ১৫৬ কোটিরও বেশি টিকাকরণ, তবু লক্ষ্যপূরণ হল না ভারতের

এক বছর পূর্ণ হল ভারতের করোনভাইরাস টিকাকরণ অভিযানের (India Covid-19 Vaccination Drive)। ১৫৬ কোটি ডোজেরও বেশি টিকাকরণ হলেও, মোদী সরকার লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ।

amartya lahiri | Published : Jan 16, 2022 9:56 AM IST / Updated: Jan 16 2022, 03:36 PM IST

রবিবার এক বছর পূর্ণ হল ভারতের করোনভাইরাস টিকাকরণ অভিযানের (India Covid-19 Vaccination Drive)। ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি, সর্বপ্রথম স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। তারপর থেকে এদিন সকাল পর্যন্ত ১৫৬.৭৬ কোটির বেশি (১,৫৬,৭৬,১৫,৪৫৪) ডোজ কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandaviya), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ (Amit Shah) বিশিষ্ট নেতারা ভারতের টিকাকরণ অভিযানের  এক বছর পূর্তিকে  স্বাগত জানিয়েছেন। 

ভারতের কোভিড টিকাকরণ অভিযানকে সফল করার জন্য, দেশের সকল স্বাস্থ্যকর্মী, বিজ্ঞানী এবং নাগরিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) নেতৃত্বে 'সবকা প্রয়াস'-এর (Sabka Prayas) মন্ত্রে এই প্রচারণা শুরু হয়েছিল। আজ সেই অভিযানের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। 

আরও পড়ুন - Vaccination for 15-18 year: আসমুদ্রহিমাচলে শিশুদের টিকাদান উৎসব, দেখুন ছবিতে ছবিতে

আরও পড়ুন - Andaman Fully Vaccinated: সাপ-কুমীরের সঙ্গে লড়ে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ আন্দামানে, ভারতে প্রথম

আরও পড়ুন - কীভাবে এবছরের শেষের মধ্যেই ভারতের সবাই পাবে টিকা, রোডম্যাপ জমা দিল কেন্দ্র

অমিত শাহ টুইট করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ ও অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্বেই, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযানের ১ বছর সফলভাবে পূর্ণ হল। এই টিকাকরণ যে বিনামূল্যের ছিল, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের স্বার্থে সরকার এবং নাগরিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে যে কোনও  চ্যালেঞ্জ জয় করে সম্ভব, তা এই টিকাকরণ অভিযানের মাধ্যমেই দেখিয়ে দিয়েছে ভারত। বিশ্বে উদাহরণ স্থাপন করেছে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিরন্তর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন অমিত শাহ।

২০২০ সালের গোটা বছরটাই ঢাল-তরোয়াল ছাড়া একেবরে সামনে দাঁড়িয়ে কোভিড-১৯'এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন ডাক্তার-নার্স-চিকিৎসা কর্মীরা। তাই, ঠিক এক বছর আগে, এই স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মীদের দিয়েই প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে অন্যান্য ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকা দেওয়া হয়। তারপর, ধাপে ধাপে ষাটোর্ধ এবং সহঅসুস্থতা থাকা ৪৫-ঊর্ধ্বদের, সকল ৪৫-ঊর্ধ্বদের, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫-১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে, ১০ জানুয়ারি থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী, ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং ষাটোর্ধদের টিকার সতর্কতামূলক তৃতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।

তবে, টিকাকরণ নিয়ে সরকার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, তা পূরণ হয়নি। গত জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্টকে টিকাকরণের যে রোডম্যাপ জমা দিয়েছিল কেন্দ্র, তাতে দাবি করা হয়েছিল, ২০২১-এর মধ্যেই প্রায় ১৮৮ কোটি ডোজ টিকা তৈরি হবে। যা দিয়ে ভারতের সমগ্র প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টিকার দুটি করে ডোজ দেওয়া হবে। পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট সেই লক্ষ্যের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে ভারত। 

Read more Articles on
Share this article
click me!