কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) বুলেটিন অনুযায়ী, সোমবারের তুলনায় ১৬.৩৯ শতাংশ কমল ভারতের দৈনিক নতুন কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রমণ। তবে, কি গতি হারাচ্ছে তৃতীয় তরঙ্গ?
পাঁচ দিন পর, ভারতের দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণ ৩ লক্ষের নিচে নেমে এল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে ২.৫৫ লক্ষ (২,৫৫,৮৭৪) টি। সোমবার ভারতের নতুন করোনভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৩.০৬ লক্ষ। অর্থাৎ একদিনে দৈনিক নতুন সংক্রমণ ১৬.৩৯ শতাংশ কমল। এর ফলে ভারতের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় চার কোটি ছুঁতে চলল, ৩.৯৮ কোটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে করোনায় বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ এখন ভারতই।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এদিন ভারতে সক্রিয় কেস অর্থাৎ চিকিৎসাধীন কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২,৩৬,৮৪২-এ, মোট আক্রান্তের ৫.৬২ শতাংশ। সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে জাতীয় কোভিড-১৯ (COVID-19) সুস্থতার হার, ৯৩.১৫ শতাংশ। সোমবার সকালে জাতীয় সুস্থতার হার ছিল ৯৩.০৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ২,৬৭,৭৫৩ জন। সব মিলিয়ে ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট ৩,৭০,৭১,৮৯৮ জন করোনাকে জয় করেছেন।
তবে উদ্বেগে রাখছে মৃত্যুর সংখ্যা। সোমবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, রবিবার ভারতে করোনা জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছিল ৪৩৯ জনের। এদিন সকালের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা জনিত কারণে প্রাণহানি হয়েছে ৬১৪ জনের। সব মিলিয়ে দেশের করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৪,৯০,৪৬২-তে।
তবে মহামারির প্রভাব বোঝা যায়, দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা নয়, দৈনিক ইতিবাচকতার হার (Positivity Rate) দিয়ে। অর্থাৎ, করোনাভাইরাস পরীক্ষার কত শতাংশ ইতিবাচক হচ্ছে। ভারতের দৈনিক ইতিবাচকতার হার গতকালের ২০.৭৫ শতাংশ থেকে ১৫.৫২ শতাংশে নেমে এসেছে। সাপ্তাহিক ইতিবাচকতার হার, সোমবার ছিল ১৭.০৩ শতাংশ। এদিন তা বেড়ে হয়েছে ১৭.১৭ শতাংশ।
অন্যদিকে আইসিএমআর জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১৬,৪৯,১০৮ টি কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ভারতে ৭১.৮৮ কোটিরও বেশি করোনা পরীক্ষা হয়েছে। আর গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ৬২,২৯,৯৫৬ টি ডোজ দেওয়া হয়েছে। এদিন সকাল ৭ টা পর্যন্ত পাওয়া, অস্থায়ী রিপোর্ট অনুসারে ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট ১৬২.৯২ কোটি (১,৬২,৯২,০৯,৩০৮) ডোজ কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে।
এদিন মহারাষ্ট্র থেকে ২৮,২৮৬ টি নতুন কোভিড-১৯ সংক্রমণ রিপোর্ট করা হয়েছে। আর কোভিডে গত ২৪ ঘন্টায় এই রাজ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৩৬ জনের। শহর মুম্বাইয়ে এদিন ২০০০ টি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা গত প্রায় এক মাসের মধ্যে সবথেকে কম। দিল্লি থেকে নতুন কেসরিপোর্ট করা হয়েছে ৫,৭৬০ টি। জাতীয় রাজধানীর ইতিবাচকতার হার নেমে এসেছে ১৩.৩ শতাংশ থেকে ১১.৭৯ শতাংশে। দক্ষিণের কর্ণাটক রাজ্য থেকে গত ২৪ ঘন্টায় ৪৬,৪২৬ টি নতুন কোভিড কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। তামিলনাড়ুতে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ সামান্য কমে ৩০,৫৮০টির থেকে ৩০,২১৫টি তে নেমেছে।