কেরলেও (Kerala) পৌঁছে গেল ওমিক্রন (Omicron) ভেরিয়েন্ট। যুক্তরাজ্য থেকে ফেরা ব্যক্তি ওমিক্রন পজিটিভ সনাক্ত হতেই য়েছেন। ফলে, ভারতের মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৮।
রবিবার, কেরলেও (Kerala) পৌঁছে গেল নভেল করোনাভাইরাসের ওমিক্রন (Omicron) ভেরিয়েন্ট। যুক্তরাজ্য থেকে রাজ্যে ফেরা এক ব্যক্তি ওমিক্রন পজিটিভ হিসাবে সনাক্ত হয়েছেন। ফলে, এই প্রথম কেরল থেকে ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট করা হল। গত ৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য (United Kingdom) থেকে আবুধাবি (Abu Dhabi) হয়ে দেশে ফিরেছিলেন ওই ব্যক্তি। ৮ ডিসেম্বর তাঁর করোনা পরীক্ষার ফল ইতিবাচক এসেছিল। তারপরই জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য তাঁর নমুনা পাঠানো হয়েছিল।
এদিন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ (Veena George) জানান, কেরালের ওই ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে এর্নাকুলাম (Ernakulam) থেকে। যুক্তরাজ্য ফেরত ওই করোনা রোগী আবুধাবি হয়ে দেশে এসেছিলেন। প্রাথমিক করোনা পরীক্ষায় তাঁর ফল নেতিবাচক এসেছিল। কিন্তু, তারপর ৮ ডিসেম্বর ফের পরীক্ষায় করায় পজিটিভ ফল আসে। তারপর এদিন জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষার ফল হাতে আসলে জানা যায় ওই ব্যক্তি নভেল করোনাভাইরাসের (Novel Coronavirus) নবতম রূপান্তরে আক্রান্ত। আরও জানা গিয়েছে তাঁর সঙ্গে একই উড়ানে কেরল এসেছিলেন মোট ১৪৯ জন যাত্রী। তাঁদের সকলের করোনা পরীক্ষা করা হবে। তাঁর কাছাকাছি আসনে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের ওমিক্রন সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।
কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ওই ওমিক্রন রোগীর অবস্থা একেবারেই স্থিতিশীল এবং তাঁকে নিয়ে কোনও রকম উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে, তাঁর স্ত্রী এবং মায়ের করোনা পরীক্ষার ফলও ইতিবাচক এসেছে। তাঁদের সকলকেই বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুসারে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিনে এই তিন জনের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, সকলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বীনা জর্জ জানিয়েছেন, কেরল সরকার ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে কঠোর সতর্কতা গ্রহণ করেছে। কাজেই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।
কেরলের এই ঘটনাটির পর, ভারতের মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৮-এ। রবিবারই অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যেও প্রথম ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা সনাক্ত করা হয়েছে। আয়ারল্যান্ডে থেকে এক ৩৪ বছর বয়সী ব্যক্তি দেশে ফিরেছেন, তাঁর শরীরে ওমিক্রন মিলেছে। তার আগে শনিবার গভীর রাতে চণ্ডীগড়ও সেই রাজ্যের প্রথম ওমিক্রণ সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করেছে। গত ২২ নভেম্বর ইতালি থেকে দেশে ফেরা এক ২০ বছরের তরুণের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং-এ ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট সনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে আসা সাতজন উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ আত্মীয়কেও কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কর্ণাটকেও এদিন সেই রাজ্যের তৃতীয় ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে এখনও অবধি ভারতের ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ জনই বিদেশ থেকে ফিরেছেন।
নাগপুরেও এদিন একটি ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েছে। যার ফলে মহারাষ্ট্রের মোট ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮-তে। এই রাজ্যেই ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এরপর রয়েছে রাজস্থান (৯ টি), কর্ণাটক (৩ টি), দিল্লি (২ টি) এবং এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ও চণ্ডীগড়ে ১ টি করে ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা সনাক্ত করা হয়েছে।