হায়দরাবাদে এসে পৌঁছল রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভি-র দ্বিতীয় ব্যাচ। রবিবারই হায়দ্রাবাদে এই ভ্যাকসিনের ব্যাচ এসে পৌঁছয়। ভারতের রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলাই কুদাশেভ বলেন করোনা অতিমারীর মোকাবিলায় ভারতের পাশে সব সময় রয়েছে রাশিয়া। ভ্যাকসিনের রফতানি সেই বন্ধুত্বেরই প্রতীক।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে নিকোলাই বলেন ভারত ও রাশিয়া একযোগে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করছে। ভারতকে সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত রাশিয়া। রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিনের দেড় লক্ষ ডোজ এর আগেই চলে এসেছে ভারতে। আগামী সপ্তাহ থেকে ভারতে বিক্রি করা হবে এই করোনা টিকা। জিএসটি দিয়ে দাম পড়বে প্রায় হাজার টাকা।
স্পুটনিক ভি-র কার্যকারিতা ৯১.৬ শতাংশ। এটিও তৈরি হবে দেশে বলে জানা গিয়েছে। ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরি এই ভ্যাকসিনের ১৫.৬ কোটি ডোজ তৈরি করবে। এটি ২১ দিনের অন্তরে নিতে হবে। তবে এটির একক ডোজের টিকাও রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সেটি ভারতে আসবে।
এদিকে, ভারতে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ। আর এই দ্বিতীয় তরঙ্গে রীতিমত বিপর্যস্ত দেশ। নিত্যদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনা-সংক্রমণ রুখতে ক্রমশই চাহিদা বাড়ছে ভ্যাকসিন বা করোনা টিকা। কিন্তু বর্তমানে দেশে টিকার যোগান না থাকলেই জুন মাস থেকে তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেও দাবি করা হয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার
স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে বছর শেষ হওয়ার আগেই ভারতের হাতে ২১৬ কোটি করোনা টিকার ডোজ থাকবে। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে টিকার সংকট কেটে যাবে। আগামী অগাস্ট মাস থেকে এদেশে টিকার উৎপাদন বাড়বে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভিকে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২১ সালের পয়লা মে অনুমোদন দেয়। গত শুক্রবার অর্থাৎ ১৪ই মে এর প্রথম ব্যাচ ভারতে আসে।
এদিকে, মারণ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোভিড ভ্যাকসিন যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেই কথা বারবার বলেছেম চিকিৎসক থেকে বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটা দেশ। দেশের হাসপাতালগুলিতে বেড, ওষুধ ও অক্সিজেনের আকালের পাশাপাশি টিকাকরণ নিয়ে দেখা দিয়েছে সমাপ্ত। পর্যাপ্ত টিকা না থাকার অভিযোগ উঠছে সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আরও একটু আশার আলো দেখাল জাইডাস ক্যাডিলা। তাদের তৈরি ভ্যাকসিন জাইকোভ-ডি খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে বাজার।