এর আগে করোনার যে সমস্ত স্ট্রেনগুলি বাংলা তথা দেশের বুকে থাবা বসিয়েছিল তাতে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ওমিক্রণের ক্ষেত্রেই ঘুরছে খেলা। বাড়ছে উদ্বেগ।
করোনায় কাবু গোটা বাংলা। এদিকে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ইতিমধ্যেই ১৫ উর্ধ্বদের করোনা টিকাকরণ(Corona vaccination above 15 years) চালু করেছে কেন্দ্র সরকার(Central Government)। বাংলাতেও বেড়েছে টিকাকরণের গতি। কিন্তু করোনার অন্যান্য স্ট্রেনের পাশাপাশি বর্তমানে স্বাস্থ্য কর্তাদের সবথেকে বেশি মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওমিক্রণ সংক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের(Department of Health) দাবি, বাংলায় আক্রান্ত শিশুদের(Children affected by corona in Bengal) মধ্যে ৬৯.২ শতাংশই করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনের কবলে পড়েছে। এই তথ্য সামনে আসতেই নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ। এদিকে এর আগে করোনার যে সমস্ত স্ট্রেনগুলি(Corona Omicron Strain) বাংলা তথা দেশের বুকে থাবা বসিয়েছিল তাতে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ওমিক্রণের ক্ষেত্রেই ঘুরছে খেলা। বাড়ছে উদ্বেগ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই মতে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। এমনকী সংক্রমণের ক্ষেত্রে বড়-ছোট কোনও গণ্ডিই মানে না এই মারণ স্ট্রেন। আর ঠিক সেই কারণেই হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। স্বাভাবিকভাবেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রণ সংক্রমণ। এদিকে ওমিক্রণের উপসর্গের সঙ্গে সাধারণ জ্বর-সর্দির উপসর্গের মিল থাকাতেই অনেকক্ষেত্রে বিপাকে পড়ছেন অভিভাবকেরা। যদিও এর সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ যে একদম থাকছে না এমনটা নয়। এমতাবস্থায় শিশুদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি ছাড়া অন্য কোনও উপসর্গ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে কিনা সেদিকে বিশষ নজর দিতে বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে জ্বর, সর্দি, গলাব্যথা, হাতে পায়ে ব্যথা, শুকনো কাশি হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে। ওমিক্রনের একাধিক লক্ষণের মধ্যে যে এগুলিও পড়ে তা বারেবারে মনে করিয়ে দিচ্ছেন সকলেই।
আরও পড়ুন-আতঙ্ক বাড়ছে বাংলায়, ফের একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা পার করল ১৮ হাজারের গণ্ডি
এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে কোভিড-১৯ বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মতো মারাত্মক নয় ওমিক্রন। তবে এর সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। আর সেখানেই বাড়ছে উদ্বেগ। এদিকে ইতিমধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা রাজ্যে করোনার কবলে পড়ছেন ১৮ হাজার ৮০২ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের দাঁড়িয়েছে ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৫৯। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃতের সংখ্যাঁ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৮৩৩। তবে গোটা রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে কলকাতা। সেখানে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪৭৯। তিলোত্তমার বুকে ওমিক্রণে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাও সবথেকে বেশি বলে জানা যাচ্ছে। তাও চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে শহর কলকাতার অবিভাবকদের কপালে।