কয়েকদিন ধরেই গায়ে ব্যথা ও হালকা জ্বর ছিল অরূপের। এরপর কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়েই পরীক্ষা করান তিনি। তারপরই তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas)। এই মুহূর্তে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তাঁর শরীরে করোনার মৃদু উপসর্গ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে মোনোক্লোনাল ককটেল অ্যান্টিবডি দিচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। আর সেখানে তিনি যে কেবিনে ভর্তি ছিলেন এখন সেখানেই সৌরভ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কয়েকদিন ধরেই গায়ে ব্যথা ও হালকা জ্বর ছিল অরূপের। এরপর কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়েই পরীক্ষা করান তিনি। তারপরই তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রিপোর্ট দেখেই হাসপাতালে ভর্তি হতে রাজি হন তিনি। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে উডল্যান্ডসে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে মন্ত্রীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রার উপর বিশেষ নজর রাখছেন চিকিৎসকরা। তিনি ওমিক্রন আক্রান্ত কিনা তাও দেখা হবে। তাই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য তাঁর সোয়াবের নমুনা পাঠানো হবে। তারপরই জানা যাবে যে তিনি ওমিক্রন আক্রান্ত কিনা।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসকরা অরূপকে মোনোক্লোনাল ককটেল অ্যান্টিবডি দিচ্ছেন। এটি একটি কৃত্রিম পদ্ধতিতে তৈরি অ্যান্টিবডি। যা রোগীর স্বাস্থ্যের কোনও অবনতি হতে দেয় না। পাশাপাশি রোগী যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন তাতে সাহায্য করে এটি। কয়েকদিন আগে যখন সৌরভ করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তখন তাঁকেও এই অ্যান্টিবডি দেওয়া হয়েছিল। এই ককটেল অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়া বুঝতে পাঁচ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। যে সব রোগীর শরীরে মৃদু উপসর্গ থাকে তাঁদেরই এটি দেওয়া হয়ে থাকে।
এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সস্ত্রীক তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তারপর আক্রান্ত হয়েছিলেন কলকাতা পুরনিগমের (KMC) মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার এবং পুরসভার বেশ কয়েক জন কর্মী। আর এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
এদিকে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা। সেখানে সংক্রমিতের সংখ্যা সর্বাধিক। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজারের বেশি মানুষ। তার মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতাতেই আক্রান্ত সংখ্যা ২ হাজার ছুঁইছুঁই ছিল। এর মধ্যে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, তার মধ্যেও অনেককেই মাস্ক পরতে বা দূরত্ববিধি মানতে দেখা যাচ্ছে না। পাশাপাশি উৎসবের আনন্দেও করোনাবিধি শিকেয় তুলে গা ভাসাচ্ছেন অনেকেই।