মহামারী মোকাবিলা চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ড থেকে ইঞ্জিনিয়ার, কলেজ পড়ুয়ারা মিলে তৈরি করল 'পাহারাদার' টিম। তেল কিংবা নুন ,আনাজ অথবা ওষুধ ডাক পড়লেই 'ওরা' হাজির ।প্রকৃত অর্থেই করোনা আবহে লালবাগ মহকুমার অন্তর্গত শ্রীমন্তপুর তাঁতিপাড়ার 'পাহারাদা'র হয়ে উঠেছে রিতেশ , বৈদ্যনাথ ,শম্পা দের মত যুবক যুবতিরা। বানিয়ে ফেলেছে আস্ত একটা টিম। আর তাতেই স্বস্তি লাভ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
রিতেশ আগরওয়াল পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ড , অনুপ দাস ইঞ্জিনিয়ার ,কনা দাস কলেজ পড়ুয়া । এদের প্রত্যেকের জন্ম এই তাঁতিপাড়াতেই ।পেশা গত কারনে যে যেখানেই থাকুন গোটা দেশের সঙ্গে করোনা কালে বড় দুঃসময় চলছে এই তাঁতি পাড়ারও ।তাই পাড়ার মানুষের পাশে ছুটে এসেছেন ওই যুবক যুবতি । সকাল সন্ধ্যা তো বটেই রাতেও পাড়ার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে তারা জেনে নিচ্ছেন পরিবারের কে কেমন আছেন । কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি , যে কোনও প্রয়োজনে যে কোনও সময়ে তারা যে আছেন তাও জানিয়ে দিতে ভুল করছেন না এই করোনা যোদ্ধারা । কেনা কাটা করে দেওয়া তো আছেই । রক্ত , অ্যাম্বুলেন্স ,অক্সিজেন যা কিছু প্রয়োজন সব ব্যাবস্থা পাকা করে রেখেছেন এক দিন এই গ্রামেই বড় হয়ে ওঠা ওই ছেলে মেয়েরা ।এই পাহারাদারেরা প্রতিটি বাড়ি গিয়ে দেখে নিচ্ছেন সঠিক ভাবে করোনা বিধি মানা হচ্ছে কি না , প্রয়োজনে গ্রামের বয়স্ক ও মহিলাদের শিখিয়ে দিচ্ছেন এই সময় কি করা উচিৎ আর কি করলে সমাজ আরও সংক্রামিত হবে । পাশের বাড়ির কেঊ করোনা আক্রান্ত হলে ওই পরিবারের সঙ্গে পাড়া প্রতিবেশিরা যাতে খারাপ ব্যাবহার না করে সহনশীল হওয়ার পাঠও দিচ্ছেন বৈদ্য নাথরা।
আরও পড়ুন, বিধায়ক লাভলী মৈত্রকে মোবাইলে অশালীন ম্যাসেজ-খুনের হুমকি, গ্রেফতার ১, কাঠগড়ায় BJP
অযথা আতঙ্ক না ছড়ানোর পরামর্শ দেওয়ার পাসাপাশি প্রয়োজনে পরিচয় গোপন রেখে সমস্ত রকম সাহায্যের হাত বাড়াতে প্রস্তুত তারা । পাড়ার ছেলে মেয়ের এই কর্মকাণ্ড দেখে খুশি দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য , তিনকড়ি দাস ,হারাধন দাসেরা ।এই ব্যাপারে তারা বলেন,'যে ভাবে ওই ছেলে মেয়েরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে ,তাতে আমরা অভিভূত ।' আর করোনা যোদ্ধার ছেলে মেয়েদের বক্তব্য , ' একটু দায়িত্ব নিয়ে নিজ-নিজ গ্রামের জন্য এই রকম টিম বানিয়ে যদি কাজ করা হয় ,তাহলে সমাজ থেকে করোনা আতঙ্ক যেমন দূর করা সম্ভব হবে । তেমনি এই দুঃসময়ে সমাজ অবলম্বন ফিরে পাবে ।'