পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক নতুন কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা (Daily New COVID-19 Cases crosses) ১০০০ পার করল বলে জানালো রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Dept)। । শেষবার এই রাজ্যে দৈনিক নতুন কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১০০০-এর বেশি ছিল ৫ জুলাই।
ভয় বাড়িয়ে বুধবার একলাফে পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক নতুন কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা (Daily New COVID-19 Cases crosses) ১০০০ পার করল। শেষবার এই রাজ্যে দৈনিক নতুন কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১০০০-এর বেশি ছিল ৫ জুলাই। তারপর থেকে মাঝে মধ্যে ১০০০-এর কাছাকাছি গেলেও, তা পার করেনি। এদিন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Dept) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার পশ্চিমবঙ্গে নতুন করোনা সংক্রমণের ঘটনা পাওয়া গিয়েছে ১০৮৯ টি।
এরমধ্যে কলকাতাতেই ধরা পড়েছে ৫৪০টি কেস। মঙ্গলবার রাজ্যের নতুন কেসের সংখ্যাটা ছিল ৭৫২। ফলে একদিনে একলাফে ৩০০-রও বেশি বাড়ল দৈনিক রোগীর সংখ্যা। সব মিলিয়ে এদিন বাংলার মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬,৩২,৯০৬-এ। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ৮০৭ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। ফলে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬,০৫,৪৩৪-এ, সুস্থতার হার ৯৮.৩২ শতাংশ। এই সময়কালে রাজ্যে ১২ জনের করোনা জনিত কারণে মৃত্যু হওয়ায় এই মহামারি রোগে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৯,৭৪৫, মৃত্যুর হার ১.২১ শতাংশ।
পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েছে শহর কলকাতাতেই, ৫৪০। তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা (১৪৫), হাওড়া (৭৯), দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৬০), হুগলী (৫৯), পশ্চিম বর্ধমান (৪৭)। রাজ্যে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৭,৭২৭ জন করোনা রোগী। বেশিরভাগ রোগীই আছেন হোম আইসোলেশনে, মোট ৬,৮২৩ জন। আর বাকি ৭৫৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ১৫১ জনকে রাখা হয়েছে সেফ হোমে।
এদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) করোনার তৃতীয় তরঙ্গ ঠেকাতে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্কুল-কলেজে যদি সংক্রমণ বেশি, হয়, তাহলে ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করতে হবে। তাঁর দাবি, বাইরে থেকে আসা বিমানগুলি থেকেই রাজ্যে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তিনি আারও জানিয়েছেন, যেহেতু বাংলার মদ্যে শহর কলকাতার মানুষেরই বিদেশে যাতায়াত বেশি, তাই কলকাতায় আবার কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করতে হতে পারে। ৫০ শতাংশ ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ফর্মুলাও ফিরতে পারে। তবে লোকাল ট্রেন বন্ধ করা হবে না বলেই জানিয়েছেন মমতা। গঙ্গাসাগর মেলাও চলবে। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যদি কোনও প্রোটোকল চালু করতে হয়, তা ৩ জানুয়ারি থেকে করা হবে।