করোনায় আক্রান্ত মধ্যমগ্রামের কাউন্সিলর, পুরো ওয়ার্ডকেই পাঠানো হল হোম কোয়ারেন্টাইনে

  • করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, মধ্যমগ্রামের  কাউন্সিলর 
  • ওয়ার্ডের সমস্ত বাসিন্দাকেই  হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে  
  • বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এলাকার সমস্ত দোকানপাট, সরানো হয়েছে বাজার 
  • তবে প্রশাসনের তরফে এখনও ওয়ার্ডটিকে হটস্পট হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি  

Ritam Talukder | Published : Apr 11, 2020 11:48 AM IST

করোনায় আক্রান্ত  মধ্যমগ্রামের  কাউন্সিলর। যার জেরে মধ্যমগ্রামের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত বাসিন্দাদেরকেই  আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এলাকার সমস্ত দোকানপাট। এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।এলাকায় থাকা একটি বাজারকেও অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও ওয়ার্ডটিকে হটস্পট হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি। 


সম্প্রতি কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন মধ্যমগ্রামের  ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেই জানা যায় তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই এই মুহূর্তে তিনি  হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। আর এর পরেই করোনা সংক্রমণ রুখতে আরও সতর্ক হয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তর।  ওই কাউন্সিলর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হওয়ায়,  ওই এলাকার প্রত্যেককেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে আপাতত সকলকে বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে এলাকার সমস্ত দোকানপাট। এলাকায় থাকা বাজারকেও অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।



 বারাসতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের তরফে গার্ডরেল দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রহরারও বন্দোবস্ত করা হয়েছে।' কীভাবে এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাবেন, তা নিয়ে চিন্তিত অধিকাংশ স্থানীয় বাসিন্দা। তবে সেই আশঙ্কা মেটাতে ইতিমধ্যেই পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। ওই টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাই বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেবেন। তাই অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা প্রশাসনের।  অপরদিকে, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা জানিয়েছেন, 'কাউন্সিলরের বিদেশ যাত্রার কোনও রেকর্ড নেই।  তা সত্ত্বেও ওই কাউন্সিলর কীভাবে করোনা আক্রান্ত হলেন, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। রোগ যাতে কোনওভাবেই ছড়াতে না পারে তাই আগেই এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। এবার এলাকার প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।' তবে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশকিছু জায়গাকে হটস্পট চিহ্নিত করে সিল করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে নবান্ন। প্রশাসনের তরফে ওই হটস্পটগুলির নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
 

 

এনআরএস-র আরও ৪৩ জন স্বাস্থ্য কর্মীর রিপোর্ট নেগেটিভ, স্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

করোনার রোগী সন্দেহে বৃদ্ধকে বেধড়ক মার, স্যালাইনের চ্যানেল করা হাতে দড়ি পড়ালো মানিকতলাবাসী

করোনায় আক্রান্ত এবার কলকাতার ২ ফুটপাথবাসী, হোম কোয়ারেন্টাইনে উদ্ধারকারীরা



 

Share this article
click me!