করোনা সংক্রমণ ক্রমশ মাত্রাছাড়া হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে হাওড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল হাওড়ার মঙ্গলা হাট ।
শর্তসাপেক্ষে এশিয়ার (Asia) অন্যতম বৃহৎ মঙ্গলাহাট (Manglahat) খুললেও, প্রথম দিনে সেভাবে দেখা মিলল না খদ্দেরের (Buyers)। করোনা সংক্রমণ (Corona Virus) ক্রমশ মাত্রাছাড়া হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে হাওড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল হাওড়ার মঙ্গলাহাট। তবে এক প্রকার ব্যবসায়ীদের চাপে রবিবার থেকে আবারও শুরু হল মঙ্গলাহাটে বেচাকেনা। তবে হাওড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে মঙ্গলাহাটকে।
১) ক্রেতা ও বিক্রেতা সকলেই মাক্স ব্যবহার ও স্যানিটেশন করতে হবে।
২) সকলে তা ব্যবহার করছে কিনা তা লক্ষ্য রাখার দায়িত্ব মঙ্গলা হাট কর্তৃপক্ষর।
৩) মঙ্গলা হাট চট্টরে মাইকিং, পোস্টারিং এর ব্যবস্থা করাতে হবে ।
৪) প্রতিদিন মার্কেট চত্বর পুরোপুরি স্যানিটেশন করতে হবে।
রবি, সোম, মঙ্গল এই তিন দিন দূর দূরান্ত থেকে ব্যবসা করতে মঙ্গলাহাটে আসেন ছোট-বড় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। রবিবার মূলত পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসেন মঙ্গলা হাটে। আর মঙ্গলবার হয় খুচরো ব্যবসা। সেদিন মানুষের ভিড় আরো বেশি হয়। গত বছরের ন্যায় এবারও হাট বন্ধ করে দেওয়া হলে চরম আর্থিক সংকটে পড়বে দশ লক্ষেরও অধিক মানুষ। তাই ব্যবসায়ীরা চাইছেন শর্তসাপেক্ষে যেন খোলা থাকে এশিয়ার সর্ববৃহৎ এই হাট। তবে দেখার এই পরিস্থিতিতে কতটা নজরদারি চালানো সম্ভব অথবা আদৌ নজরদারি রাখা সম্ভব কিনা।
এশিয়ার সবকটি বড় হাটের মধ্যে মঙ্গলাহাট অন্যতম। প্রতি সপ্তাহের সোম (Monday) ও মঙ্গলবার (Tuesday) হাওড়া থানা (Howrah Police Station) এলাকার সামনে বসে এই হাট। এই হাটে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। কিন্তু সামান্য অসতর্কতা থাকলে এই হাট কোভিড ও ওমিক্রনের সুপারস্প্রেডার হয়ে উঠতে পারে। তাই রাজ্যে সদ্য লাগু হওয়া বিশেষ কোভিড বিধির পরেই জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়মিত নজরদারি চালানো শুরু হয়। বিনা মাস্কে যাতে কেউ বাজারে ও রাস্তায় ঘুরে না বেড়ায় তার জন্য সতর্ক নজরদারি রাখে হাওড়া থানা।
কিন্তু কোনোভাবেই সংক্রমনকে বাগে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই মঙ্গলাহাট কোভিড সুপারস্প্রেডার হওয়ার আগেই এই হাট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। ১০ জানুয়ারি থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় হাওড়ার শতাব্দী প্রাচীন এই হাট। সূত্রের খবর হাওড়া জেলা প্রশাসন এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হাওড়ার জেলাশাসক, হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার ও পৌরনিগমের প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সনের যৌথ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।