ফের রাজ্যে করোনার চোখরাঙানি, কোভিড পরীক্ষা নিয়ে নতুন বিধি জারি নবান্নের

হাসপাতালে সর্দি-কাশি-জ্বর নিয়ে ভর্তি হলে করোনা পরীক্ষা জরুরি অর্থাৎ এই উপসর্গগুলি থাকলে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ এর নিচে থাকলে, জরুরি করোনা পরীক্ষা।

Parna Sengupta | Published : Jun 16, 2022 5:25 PM IST

রাজ্য তথা দেশ জুড়ে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে করোনা পরীক্ষা নিয়ে নতুন বিধি ঘোষণা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। উল্লেখ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ১৩ জুন বৈঠক করে বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই বৈঠকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নবান্নের তরফে জানানো হয়, হাসপাতালে সর্দি-কাশি-জ্বর নিয়ে ভর্তি হলে করোনা পরীক্ষা জরুরি অর্থাৎ এই উপসর্গগুলি থাকলে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ এর নিচে থাকলে, জরুরি করোনা পরীক্ষা। গলা, নাক, শ্বাসযন্ত্রের অপারেশনের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।

উল্লেখ্য, গোটা এপ্রিল মাসই কোভিডে মৃত্যুহীন ছিল রাজ্য। তবে মাঝে কোভিডে মৃত্যুহীন হলেও ফের মৃত্যু হয়েছে বাংলায়। গত চব্বিশ ঘন্টায় স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে কোভিডের জেরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অবধি বাংলায় মারণ রোগের বলি ২১ হাজার ২০৭ জন।

রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে লাফিয়ে বেড়ে ৩৯ থেকে ২৩০। যেটা উদ্বেগ বাড়াল স্বাস্থ্য দফতরের। প্রায় ৩ মাস পর চলতি  মাসের প্রথম শুক্রবার সেই সংখ্যাটা হয় ১০৪ এবং গত ২৪ ঘন্টায় তা ফের বেড়ে দাঁড়ায় ২৩০। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন ২০ লক্ষ ২০ হাজার ৭৭৪ জন।রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার গত ৪ দিন ধরে ১ শতাংশের বেশি। গত ২৪ ঘন্টায় তা বেড়ে হয় ১.০৫ শতাংশ। রাজ্যে হোম আইসোলেসনে বর্তমান অ্যাক্টিভ রোগী সংখ্যা ১০০৭ জন। 

এদিকে, কোভিড বিধি উঠে গেলেও সংক্রমণ রুখতে নমুনা পরীক্ষা চলছে। একদিনে ৭ হাজার ৭৮৪ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও অবধি ২৫,৪২৪,১৮৪ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। টেস্টিং-র পাশাপাশি টিকাকরণও চলছে জোর কদমে।  রাজ্যে এহেন পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই জরুরী বৈঠক করেছে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সময় যেসকল এলাকায় সংক্রমণের দাপট সবচেয়ে বেশি ছিল, সেগুলিকে হট স্পট হিসাবে চিহ্নিত করে কড়া নজরদারি চালানো হবে। 

নিউ আলিপুর, কসবা, বড়বাজার, কালীঘাট, ভবানীপুর, শিয়ালদহ, যাদবপুর, মুকুন্দপুর, গড়িয়ার মতো জায়গা থেকে শুরু করেই করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা শহরের অন্য জায়গার থেকে বেশি। ওই সব এলাকায় যাতে মানুষ মাস্ক পড়েন, বাজারগুলিতে যাচে দূরত্ববিধি বজায় থাকে, এর জন্য প্রচার চালানো হবে। 

Share this article
click me!