যাত্রী নেই, চরম সংকটে হলুদ ট্যাক্সি চালকেরা

  • কঠোর কোভিড বিধি গোটা রাজ্য জুড়ে
  • ফলে রাস্তা কার্যত জনশূণ্য
  • চরম সংকটে পড়েছেন হলুদ ট্যাক্সি চালকেরা
  • পেট চালানোর দায় বাড়ছে 

Asianet News Bangla | Published : May 18, 2021 8:05 AM IST

লকডাউন না হলেও কঠোর কোভিড বিধি নিষেধ চালু রয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। এর ফলে রাস্তা কার্যত জনশূণ্য। চরম সংকটে পড়েছেন হলুদ ট্যাক্সি চালকেরা। ক্রমশ পেট চালানোর দায় বাড়ছে, বাড়ছে উদ্বেগ। 

রাজ্যে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কয়েকদিনের মধ্যেই কার্যত লকডাউন করা হয়েছে রাজ্যে। কোভিডের নতুন বিধি নিষেধ কঠোর ভাবে পালন করে করোনার চেন ভাঙতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রাজ্য সরকার। সেই কারণে আগামী ৩০রা মে অবধি বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা। বন্ধ রয়েছে সরকারি বেসরকারি বাস, লঞ্চ পরিষেবা, অটো ও ট্যাক্সি। আর এই জেরেই চরম সমস্যায় পড়েছেন হলুদ ট্যাক্সি চালকরা। 

পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে উঠেছে যে নিজের পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার লড়াইটা তাঁদের কাছে ভীষণ কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁদের আশঙ্কা এভাবে চলতে থাকলে না খেতে পেয়ে মারা যাবেন তাঁরা। তাই তাদের আশা সরকারি সাহায্যের। যাতে তাঁরা তাঁদের পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারেন। হলুদ ট্যাক্সি চালকরা দাবি করছেন শর্তসাপেক্ষে হলেও অ্যাপ ক্যাবের মত তাদেরকেও রাস্তায় গাড়ি নামানোর অনুমতি দিক রাজ্য সরকার।

এই প্রসঙ্গে ট্যাক্সি চালক উকিল গোস্বামী জানান লকডাউনের আগে তাও কোনোভাবে তাদের সংসার চলে যেত। কিন্তু এখন রোজ বসে থাকতে হচ্ছে। কোনো রোজগার হচ্ছে না। যদি সরকার অ্যাপ ক্যাবের মতো তাদেরকেও গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা করে দেয়। তাঁরা গাড়ি চালাতে রাজি আছেন। নাহলে তাদের সংসার চালানোটা খুব সমস্যার হয়ে উঠছে।

প্রসঙ্গত রাজ্যে কোভিডের চেন ভাঙার জন্য যে লকডাউনের মতোই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন নবান্ন থেকে মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পর থেকেই গোটা রাজ্যে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত মাধ্যম চালু থাকলেও বন্ধ রয়েছে অন্যান্য সমস্ত বিভাগ।

কিন্তু এতেও যদি সংক্রমণ না কমে সেক্ষেত্রে আরও বাড়তে পারে এই কঠোর কোভিড বিধি নিষেধের সময়সীমা। এমনটাই মনে করছেন ট্যাক্সি চালকেরা। আর সময়সীমা বাড়লে আরও বাড়বে তাদের ও তাদের পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার লড়াই। যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় তাঁরা। 

Share this article
click me!