Containment Zone In Kolkata: করোনার দাপটে কাবু কলকাতা, কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৮

মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, কোনও আবাসনে ৪ থেকে ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেই সেই এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়াও বাজার, জনবহুল রাস্তা স্যানিটাইজ করা হবে।

করোনার দাপটে নাজেহাল কলকাতাবাসী। কারণ রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি সংক্রমণ লক্ষ্য করা গিয়েছে সেখানেই। একদিনে সেখানে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৭০ জন। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কলকাতায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানো হল। সংক্রমণের উপর রাশ টানতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৫ থেকে বেড়ে ৪৮ করা হয়েছে। 

রাজ্যের লাফিয়ে বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department) প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রেকর্ড লাফে রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১৪ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ২২ জন। আর তার মধ্যে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা (Kolkata)। কারণ রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সেখানেই। শুধু কলকাতাতেই একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৭০ জন। এই পরিস্থিতিতে শহরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসরে নেমেছে কলকাতা পুরসভাও। 

Latest Videos

মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, কোনও আবাসনে ৪ থেকে ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেই সেই এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়াও বাজার, জনবহুল রাস্তা স্যানিটাইজ করা হবে। এমনকী, বাজারে মাস্ক ছাড়া একেবারেই যাওয়া যাবে না। আর সেই কারণে কলকাতার রাস্তায় শুরু হয়েছে ধরপাকড়ও। ১০ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই যাতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায় সেই লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।  

এছাড়া কলকাতায় যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে সেক্ষেত্রে সেখানে ফের খোলা হচ্ছে সেফ হোমগুলি। তিনটি সেফ হোমের শয্যা সংখ্যা ৩৫০। কলকাতার তিনটি সেফ হোম। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হল বাইপাস সংলগ্ন সেফ হোম। এখানে রয়েছে ২০০টি শয্যা। আরেকটি সেফ হোম হয়েছে কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। এই সেফ হোমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ায়, তা খোলা হয়েছে। সেখানে রয়েছে ১০০টি শয্যা। আর তৃতীয় সেফ হোমটি রয়েছে উত্তর কলকাতায়। সেখানে রয়েছে ৫০টি শয্যা।

কলকাতার প্রায় প্রান্তেই থাবা বসাচ্ছে করোনা। একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশকর্মী থেকে শুরু করে চিকিৎসক সবাই। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কলকাতা পুলিশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১। এছাড়া প্রায় সব হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকী, করোনার হাত থেকে রেহাই পাননি সিবিআই (CBI) আধিকারিকরাও। সূত্রের খবর, নিজাম প্যালেস (Nizam Palace) ও সল্টলেকের সিজিও (Saltlake CGO)  কমপ্লেক্স মিলিয়ে ১৩ জন সিবিআই অফিসার করোনা আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে ৪০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চলবে বলে জানা গিয়েছে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

মমতা হারবে, DA ন্যায্য অধিকার, জয় আপনাদের দোরগোড়ায়, ঐক্যবদ্ধ থাকুন : শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
শীতের রাতে যমুনার আতঙ্ক! একের পর এক জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী | Bandwan Tiger News
নওশাদ সিদ্দিকীকে জঙ্গি আখ্যা Saokat Molla-র, পাল্টা বড় পদক্ষেপ Naushad Siddiqui-র
Suvendu Adhikari Live : নবান্নের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্না অবস্থান মঞ্চে শুভেন্দু
এ যেন লুকোচুরি খেলা! ক্ষণে ক্ষণে স্থান পরিবর্তন, এখনও অধরা বাঘিনী যমুনা | Jhargram Tiger News