কোভিড-তথ্যের 'সোনার খনি' ডিলিট করে দিল চিন, কী লুকোতে চাইছে তারা

মহামারির শুরু থেকে দেড় বছরেরও বেশি কেটে গিয়েছে

এখনও এই মহামারির উৎসের সন্ধান পাওয়া যায়নি

এর মধ্যে আবার প্রথম দিকের তথ্য মুছে ফেলল চিন

তাহলে কি সত্য়িই কিছু লুকোতে চাইছে তারা

amartya lahiri | Published : Jun 25, 2021 1:15 PM IST

২০১৯  সালের ডিসেম্বরে চিনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা সনাক্ত হওয়ার পর দেড় বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও নিশ্চিতভাবে এই মহামারির উৎসের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরমধ্যে আবার একেবারে প্রথম দিকের সার্স-কোভ-২ সংক্রমণের তথ্য মুছে ফেলার অভিযোগ উঠল। যে সকল তথ্য, ভাইরাল সংক্রমণটির প্রকৃতি বুঝতে একেবারে সোনার খনির মতো বলে দাবি করছেন  গবেষকরা। ফলে কোথা থেকে, কীভাবে, এই মহামারির উৎপত্তি ঘটল, সেই তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। তাহলে কি সত্য়িই কিছু লুকোতে চাইছে চিন?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলের ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার গবেষণা কেন্দ্রের ভাইরোলজিস্ট তথা বিবর্তনমূলক জীববিজ্ঞানী জেসি ব্লুম সম্প্রতি এক গবেষণাপত্রে দাবি করেছেন, মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা এনআইএইচ (NIH)-র সিকোয়েন্স রিড আর্কাইভ থেকে করোনা মহামারির একেবারে প্রথম দিকে হওয়া এক ডজনেরও বেশি করোনভাইরাস পরীক্ষার সিকোয়েন্সগুলি সমেত একটি তথ্যের ভান্ডার মুছে ফেলা হয়েছে। গবেষণার জন্য, ব্লুম, গুগল ক্লাউড থেকে মুছে ফেলা ফাইলগুলি পুনরুদ্ধার করেছেন এবং প্রাথমিক প্রাদুর্ভাব থেকে ১৩ টি ভাইরাসের আংশিক ক্রম পুনর্গঠন করেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং চিন যৌথ অনুসন্ধানে করোনাভাইরাস মহামারির উৎস সম্পর্কে যে প্রতিবেদন তৈরি করেছিল, তার কেন্দ্রবিন্দু চিনের হুয়ানান সিফুড  মার্কেট। কিন্তু, সেখানকার নমুনাগুলির জিনোম সিকোয়েন্স মহামারীর প্রথম দিকে উহানে প্রাপ্ত ভাইরাসের সম্পূর্ণ প্রতিনিধি নয় বলেই দাবি করেছেন ব্লুমে। তাঁর দাবি, হুয়ানান সিফুড মার্কেট-সহ স্থানীয় ওয়েট মার্কেটগুলিতে সনাক্ত হওয়ার আগে থেকেই উহানে সার্স-কোভ-২ ছড়াতে শুরু করেছিল। আর সম্ভবত সেই বিষয়টি গোপন করতেই ওই তথ্যগুলির অস্তিত্ব মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছল। কারণ এর বৈজ্ঞানিক কোনও কারণ নেই।

এনআইএইচ-এর পক্ষ থেকে এই বিষয়ে একটি বিবৃতিতে প্রকাশ করে মেনে নেওয়া হয়েছে, যে, চিনের করোনভাইরাস সম্পর্কিত একেবারে প্রথম দিকের কয়েকটি নমুনা আন্তর্জাতিক ডাটাবেস থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলি প্রাথমিকভাবে চিনা গবেষকদের অনুরোধেই সংরক্ষণ করা হয়েছিল। সংস্করণ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা এড়ানোর জন্য, জিনোম সিকোয়েন্সিং সংক্রান্ত তথ্য আপডেট করে অন্য একটি ডাটাবেসে জমা দেওয়া হচ্ছে বলে সেগুলি মুছে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তাঁরা। এনআইএইচ সাফ জানিয়েছে, জমা দেওয়া তথ্য, যে বা যারা জমা দিচ্ছে, তাঁদের অনুরোধ সরিয়ে দেওয়া হয়। তারা যে উদ্দেশ্য বলেছে, তার বাইরে অনুমানের ভিত্তিতে তারা কিছু বলতে পারবে না।

Share this article
click me!