শিশুদের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে আসছে চিন। যদিও এখনও পর্যন্ত তা স্পষ্ট করে জানায়নি স্থানীয় প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে রীতিমত লুকোচুরি খেলা হচ্ছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ সম্প্রতি চিনের সিনোভাক-এর চেয়ারম্যান ইয়িন ওয়েডং বলছেন ৩-১৭ বছরের বয়স্কদের জরুরি ব্যবহারের জন্য করোনাভ্যাক নামের করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যদিও রবিবার চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ পত্র গ্লোবাল টাইমসকে তিনি জানিয়েছে, ভ্যাসকসিনটি জরুরি ব্যবহারের প্রয়োগ করা হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন কোন বয়সীদের তা দেওয়া হবে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
সিনোভ্যাক ইতিমধ্যেই দেশে ও বিদেশ প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করেছে। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ভ্যাকসিনটি প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নিরাপদ। আর তা রীতিমত কার্যকরী বলেও দাবি করেছেন সংস্থার প্রধান ইয়িন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১ জুন চিনের দ্বিতীয় কোভিড ভ্যাকসিন সিনোভ্যাককে অনুমোদন দিয়েছেন। শি জিংপিং প্রশাসন আশা করছে, এই করোনাটিকাকে সামনে রেখেই ভ্যাকসিন কূটনীতি এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে চিন। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিনের সিনোফার্মকে ছাড়পত্র দিয়েছিল। দেশে টিকা কর্মসূচি চালানোর পাশাপাশি চিন বিদেশের কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই প্রতিষেধক সরবরাহ করেছে।
চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন রবিবার জানিয়েছে দেশে এখনও পর্যন্ত ৭৬৩ মিলিয়ন ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। চিন জরুরি ব্যবহারের জন্য প্রায় পাঁচটি ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে। চিন কোভ্যাক্সের প্রায় ১০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করব উন্নয়নশীল দেশগুলিতে। যদিও বিশ্বের কয়েকটি দেশ এখনও পর্যন্ত চিনের তৈরি টিকাকে গুরুত্বদিতে নারাজ। কারণ বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল চিন থেকেই। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া দাবি করেছেন পরীক্ষাগারে জৈব অস্ত্র হিসেবেই করোনার জীবাণু নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই গবেষণা করছিল চিন সেখান থেকেই করোনার জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। ২০২০ সাল থেকে করোনা মহামারির দাপতে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। প্রায় স্তব্ধ হয়েগেছে বিশ্ব অর্থনীতি আর উন্নয়নের চাকা। সংক্রমণ রুখতে অধিকাংশ দেশই দফায় দফায় লকডাউন ডেকেছে। যদিও পাকিস্তান, ও আফ্রিকার একাধিক দেশে চিন করোনা টিকা সরবরাহ করছে।