ফুসফুসে অত্যন্ত সহজেই ছড়ায় ডেল্টা প্লাস
অ্যান্টিবডি ককটেল দিয়েও তাকে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব নয়
তাহলে কীভাবে করা যাবে ডেল্টা প্লাসের মোকাবিলা
কী জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ভারতের একের পর এক রাজ্যে মিলছে করোনভাইরাসের ডেল্টা প্লাস রূপ (Delta Plus Variant)। এই AY.1 বা ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্ট ফুসফুসের কোষগুলিতে করোনার এর আগের রূপগুলির তুলনায় আরও সহজে আটকে যেততে পারে এবং যার ফলে ফুসফুসে আরও সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। শুধু তাই নয়, এটি মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি, অর্থাৎ অ্যান্টিবডি ককটেল দিয়েও করোনার এই রূপকে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব নয়। তাহলে কীভাবে করা যাবে ডেল্টা প্লাসের মোকাবিলা?
চলতি মাসের শুরুতেই ডাব্লুএইচও ডেল্টা প্লাস রূপটিকে করোনার উদ্বেগজনক রূপভেদগুলির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যেহেতু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশেই, এমনকী টিকাকরণের পরও নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণের পুনরুত্থান ঘটিয়েছে এই রূপ। এরমধ্য়ে রবিবার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রুশ প্রতিনিধি মেলিতা ভাজনভিক বলেছেন, বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই মনে করছেন করনোভাইরাসের ডেল্টা প্লাসের রূপটি আরও বেশি সংক্রামক।
ডেল্টা প্লাসকে আটকাতে শুধু ভ্যাকসিনের সুরক্ষাই যথেষ্ট নয়, মাস্কও ব্যবহার করতে হবে। সম্ভবত অতি দ্রুত আরও কিছু অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে পারে, অন্যথায় আবার লকডাউন জারি করতে হতে পারে। মাস্ক যখন পরতেই হবে, তখন কি টিকা না নিলেও চলবে? হু-এর প্রতিনিধি বলেছেন টিকা নেওয়াটা অপরিহার্য। কারণ, তাতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমে এবং গুরুতর সংক্রমণের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, ভারতের 12 টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে করোনভাইরাসের ডেল্টা প্লাস রূপটি। শনিবার গুজরাট চণ্ডীগড় এবং লুধিয়ানা থেকেও ডেল্টা প্লাস রূপ সনাক্ত হয়েছে। তবে এখনও দেশে ডেল্টা প্লাস সমক্রমণের সংখ্যা খুব সীমিত। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর বলেছে যে এই স্ট্রেনটি করোনাভাইরাস মহামারির তৃতীয় তরঙ্গ ডেকে আনবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে তাদের এক মডেলিং গবেষণা বলছে, যদি ডেল্টা প্লাসের হাত ধরে তৃতীয় তরঙ্গ আসেও, সেটি অন্তত দ্বিতীয় কোভিড তরঙ্গের মতো ভয়াবহ হবে না।