করোনার ভয়ে 'হাইস্পিড ট্রেন' লাইনে মাথা জার্মানির এক অর্থমন্ত্রীর, উদ্ধার হল ছিন্নভিন্ন দেহ

  • করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ফের আত্মহত্যা
  • এবার এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে  জার্মানিতে 
  • আত্মঘাতী হয়েছেন খোদ এক অর্থমন্ত্রী
  • রবিবার রেল ট্র্যাক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়

Asianet News Bangla | Published : Mar 29, 2020 4:36 PM IST

করোনা আতঙ্কে  'হাইস্পিড ট্রেন' লাইনে মাথা দিয়ে আত্মঘাতী হলেন জার্মানির এক অর্থমন্ত্রী। টমাস স্কিফার নামে ওই অর্থমন্ত্রী জার্মানির বাণিজ্য প্রদেশে হেসে-র সরকারের সঙ্গে কাজ করতেন। এছাড়াও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের সেন্টার-রাইট ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্র্যাটের সদস্যও ছিলেন। 

রেল ট্র্যাকে স্কিফারের দেহ এতটাই ছিন্নভিন্ন হয়েছিল যে চেনাই যাচ্ছিল না। পরে তাঁকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়। ৫৪ বছরের স্কিফার হেসে প্রদেশের  অর্থমন্ত্রী হিসাবে বহু দায়িত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে জডিত ছিলেন। জার্মানির বাণিজ্য নগরী হিসাবে পরিচিত ফ্র্যাঙ্কফুর্ট এই প্রদেশে অবস্থিত। এই শহরে একাধিক প্রথমসারির ব্যাঙ্কের সদর দফতর। এদের মধ্যে বহু ব্যাঙ্ক বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। ফলে, হেসে প্রদেশের অর্থমন্ত্রী-র পদটা কোনওভাবেই কারোর কাছে সুখের নয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও ওই সুইসাইড নোটে কী লেখা রয়েছে তা জানা যায়নি। 

পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রেল ট্র্যাকে আত্মঘাতী হয়েছেন স্কিফার। এর পিছনে কোনও রহস্য নেই। স্কিফারের দেহ যেখানে উদ্ধার করা হয় সেই স্থানটি মূলত হোছেইম এবং ফ্রাঙ্কফুর্ট ও মেইনজ শহরের মাঝখানে। পুলিশি তদন্তে সামনে এসেছে সম্প্রতি প্রায়শই স্কিফারকে সাধারণ মানুষের সামনে আর্থিক অবস্থা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে হচ্ছিল। মৌখিকভাবে রোজই সাধারণ মানুষকে জানাতে হত করোনাভাইরাসের জেরে প্রদেশের অর্থনীতির কী অবস্থা। 

সূত্রে দাবি করা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারীর জেরে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে যে ধাক্কা লেগেছে তার প্রভাব পড়েছে জার্মানিতেও। এমনকী হেসে প্রদেশের ব্যাঙ্কগুলির সদর দফতরেও তার প্রভাব ভালোই অনুধাবন করেছিলেন স্কিফার। এরপর থেকেই নাকি এক আতঙ্ক চেপে বসেছিল স্কিফার। আত্মহত্যায় এই করোনা আতঙ্কও অন্যতম কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

স্কিফারে বস তথা হেসে প্রদেশের স্টেট প্রিমিয়ার ভোলকার বউফিয়ার জানিয়েছেন, স্কিফারের মৃত্যু একটা বড় ধাক্কা। তাঁর এই আকস্মিক চলে যাওয়াটা অত্যন্ত দুঃখের বলেও মন্তব্যে করেছেন ভোলকার। তিনি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের জেরে আর্থিক মন্দায় অত্যন্ত ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন স্কিফার। কীভেব পরিস্থিতি-র মোকাবিলা হবে তা নিয়ে খুবই চিন্তায় থাকতেন। তবে, স্কিফার-কে একজন অতি দক্ষ অর্থ বিশেষজ্ঞ হিসাবেই প্রতিপন্ন করেছেন। 

মনে করা হচ্ছিল ভোলকারের পরেই হয়তো স্টেট প্রিমিয়ারের দায়িত্ব পাবেন স্কিফার। কারণ তিনি তাঁর নম্র ও ভদ্র স্বভাবের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। স্কিফার যে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ভোলকারও তাঁর সদস্য। ১০ বছর ধরে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন স্কিফার।  

Share this article
click me!