করোনায় কাবু বিশ্ববাসীকে ভাল খবর দিল 'ফাইজার'। আমেরিকার বিখ্যাত ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের করোনা টিকা নিচ্ছে অধিকাংশ বিশ্ববাসী। এবার হয়তো তাদের 'ওরাল ওষুধ' নিয়ে করোনা থেকে বাঁচাবে বিশ্ব। কোভিড রুখতে আর টিকার পাশাপাশি, এবার একটা ওষুধ খেয়ে নিলেই জব্দ করোনা ভাইরাস। সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের গোড়ায় হাতে পেয়ে যেতে পারেন করোনার 'ওরাল' ওষুধ। মানে মুখে একটা ট্যাবলেট বা ওই জাতীয় জিনিস নিলেই করোনা পালাবে। করোনায় প্রথম টিকা বাজারে আনা ফাইজার কোভিডের চিকিৎসায় দুটি 'অ্যান্টি ভাইরাল'ওষুধের ওপর গবেষণার কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে এনে ফেলেছে। ওরাল ওষুধের দিকেই বেশি জোর দিচ্ছে ফাইজার। কারণ ওরাল বা মুখ দিয়ে খাওয়া যায় এমন ওষুধের সুবিধা অনেক।
আরও পড়ুন: 'কোভিড উপসর্গে কেউ করেনি সাহায্য', ভগবানের সাক্ষাত পেল জ্বরে আক্রান্ত পর্ণশ্রীর পরিবার
আমেরিকার বিখ্যাত ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট জানিয়েছেন, "করোনায় আমরা এখন দুটো ওষুধের ওপর কাজ করে চলেছি। তার মধ্যে একটা 'ওরাল'(বা মুখের মাধ্যমে যা নিতে হয়) ওষুধ, আর একটা যা ইঞ্জিকেশনের মাধ্যমে নিতে হয়। সব অনুমোদন দ্রুত মিলে গেলে আগামী বছরের শুরুতেই ওষুধ বাজারে চলে আসবে। ওরাল ওষুধেই আমাদের ফোকাস বেশি। কারণ এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এটা সরবরাহ করা এবং পাওয়া দুটোই সুবিধার হবে। রোগী বা তাদের আত্মীয়দের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে না। ওষুধের দোকান থেকে কিনে ঘরে বসেই তা মিলবে।" এই ওষুধ দারুণ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে বড় কার্যকরী হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: লকডাউনের পথে গেল গোয়াও, কাল থেকে চারদিনের তালাবন্দি
প্রসঙ্গত, করোনার চিকিৎসায় এখনও পর্যন্ত একটি ওষুধের ওপরেই সবচেয়ে ভরসা করা হচ্ছে। সেটি হল 'অ্যান্টি ভাইরাল' রেমডিসিভির। যে রেমজিসিভিরের চাহিদা দিল্লিতে এত বেড়ে যায়, যে অশান্তি-বিতর্ক তৈরি হয়। ২০২০ সালের অক্টোবরে রেমডিসিভির-কে পূর্ণভাবে অনুমোদন দেয় মার্কিন ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। তার আগে অবশ্য রেমডিসিভিরের ব্যবহার হচ্ছিল জরুরি ব্যবহারে জন্য। এবার দেখার ফাইজারের ওরাল ওষুধ, যা এখন গবেষণার স্তরে আছে, তাকে অনুমোদন দেওয়া হয় কি না। আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন সহ বিশ্বের বেশিরভাগ উন্নতি দেশই কিন্তু ফাইজারের ভ্য়াকসিনই ব্যবহার করছে। এবার হয়তো ওষুধ ব্যবহারের পালা।