সাবধান, নতুন ধরণের যুদ্ধ শুরু করল চিন - করোনার সঙ্গে যুঝতে হবে এই হামলাও

সম্প্রসারণবাদী চিনের প্রতিবেশী দেশ দখলের নয়া নীতি

একে তাইওয়ান বলছে কগনিটিভ ওয়ার

তাদের লড়তে হচ্ছে এই নয়া চিনা আক্রমণের সঙ্গে

লাদাখের মতো তাইওয়ানকেও নিজেদের জায়গা বলে দাবি করে  চিন

amartya lahiri | Published : May 22, 2021 12:42 PM IST / Updated: May 26 2021, 09:23 AM IST

চিন যে সম্প্রসারণবাদী নীতি নিয়ে চলছে, তার প্রমাণ গত বছর লাদাখেই পেয়েছে ভারত। এবার প্রতিবেশী দেশগুলিতে অস্থিরতা তৈরি করতে নয়া কৌশল নিল বেজিং। শনিবার, তাইওয়ান অভিযোগ করেছে, তাদের দেশে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে সমানে কোভিড-১৯ মহামারি সম্পর্কে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দিচ্ছে চিন। তাদের দাবি, এর ফলে কোভিড মহামারির মোকাবিলায় তারা গোটা বিশ্বের প্রশংসা পেলেও, সরকারের প্রতি জনসাধারণের বিশ্বাস ক্রমে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। তাই এখন করোনা মহামারির মোকাবিলার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রচারিত ভুয়ো তথ্যের মোকাবিলাও করতে হচ্ছে। আর এই কৌশল শুধু তাইওান নয়, চিনের কমিউনিস্ট সরকার অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলিতেও প্রয়োগ করছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

করোনা মহামারির প্রথম তরঙ্গের সময়, তাইওয়ানের সরকার মহামারির মোকাবিলায় ভালো কাজ করার জন্য প্রশংসিত হয়েছিল। তবে বর্তমানে এই দ্বীপ রাষ্ট্রে করোনার বেশ কয়েকটি নতুন রূপ ছড়িয়ে পড়েছে এবং নতুন সংক্রমণের সংখ্যাও বাড়ছে। তাই বেশ কয়েকটি জায়গায় তারা 'স্টে-অ্যাট-হোম' জারি করেছে। সরকারী বেশ কয়েকটি জায়গা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে মহামারি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে জনগণের মধ্যে। আর এর কারণ, সোশ্য়াল মিডিয়ায় বেজিং-এর ছড়িয়ে দেওয়া ভুয়ো খবর, এমনটাই দাবি করেছে সেখানকার সরকার। তাই করোনাজনিত সচেতনতার প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভুয়ো তথ্যের বিপদ সম্পর্কেও সকলকে অবহিত করতে হচ্ছে।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন

তাইওয়ান জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতি সাই ইং-ওয়েনের বাসভবনের এক কর্মী করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার পরই এক অনলাইন প্রতিবেদনে সাই নিজেও কোভিড আক্রান্ত বলে দাবি করা হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে সেই তথ্য গোপন করা হচ্ছে। অথচ তাইওয়ানিজ প্রেসিডেন্টের করোনা পরীক্ষার ল নেগেটিভ এসছিল। তাইওয়ান সরকারের পক্ষ থেকে এই খবরকে 'জঘন্য জাল খবর' বলা হয়েছে।

কিন্তু, কেন এমনটা করছে চিন? বেজিং-এর এতে লাভ কোথায়? আসলে চিন তাইওয়ানকে তার নিজস্ব দ্বীপ বলেই দাবি করে। ঠিক যেমন লাদাখ বা কাশ্মীরের একটা বড় অংশকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে বেজিং। ছলে-বলে-কৌশলে তাইওয়ানকে চিনের সঙ্গে একীভূত করাটাই তাদের লক্ষ্য। সাই ইঙ্গ-ওয়েন চিনের কড়া সমালোচক। শক্তহাতে বেজিং--এর বিরুদ্দে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। তাই, ভূয়ো খবর ছড়িয়ে তাইওয়ানে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা টলিয়ে দিয়ে, সেখানে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে জিনপিং প্রশাসন। একে চিনের 'কগনিটিভ ওয়ার' বা তথ্য-যুদ্ধ বলে বর্ণনা করেছে তাইওয়ান।

Share this article
click me!