জেলা ওয়েলফেয়ার অফিসার অশোক শতপথীর মতে কোটলা গুড়ার অন্বেষা নামের হস্টেল থেকে ৪৪জন ছাত্র করোনা আক্রান্ত হয়েছে। চৌঠা মে তাদের রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
করোনার থাবার স্কুলে। এবার দিল্লি বা মহারাষ্ট্র নয়। সোজা পূর্বভারত। ওডিশার রায়গড় জেলায় কমপক্ষে ৬৪ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত। দুটি পৃথক হস্টেলে থাকে এই পড়ুয়ারা। জেলা ওয়েলফেয়ার অফিসার অশোক শতপথীর মতে কোটলা গুড়ার অন্বেষা নামের হস্টেল থেকে ৪৪জন ছাত্র করোনা আক্রান্ত হয়েছে। চৌঠা মে তাদের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এই ছাত্রদের রিপোর্ট পজেটিভ আসায় বাকি ২৫৭ জন ছাত্রেরও করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
হস্টেলে জেলার ৮টি ইংরেজি-মাধ্যম স্কুলের ছাত্ররা থাকে। অন্যান্য পজেটিভ কেসগুলি জেলার বিসামকাটক ব্লক থেকে রিপোর্ট করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, হাটমুনিগুড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০ জন ছাত্রী করোনা পজেটিভ হয়েছে বলে খবর। জেলা আধিকারিকরা স্কুলগুলিকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোভিড মামলার পরীক্ষা এবং ট্র্যাকিং বাড়িয়েছে। পরীক্ষায় পজিটিভ পাওয়া শিক্ষার্থীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কয়েকদিন পর পরীক্ষা হবে।
এদিকে, রিপোর্টে বলা হয়েছে কোভিড -১৯ এর সংক্রমণ শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। রিপোর্টে গবেষকরা দাবি করেছেন গুরুতর কোভিড রোগিদের আইকিউ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যার অর্থ সংক্রমণের কারণে মানুষের যে স্বাভাবিক জ্ঞানবুদ্ধি রয়েছে তা অনেকটাই কমে যেতে পারে।
গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে গুরুতর কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ যাঁদের হয়েছিল তাঁরা স্মরণ শক্তি ও চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা অনেকটাই হারিয়ে ফেলছেন। ৫০-৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে এজাতীয় মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের বিজ্ঞানীদের একটি দল এই গবেষণাটি করেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, কোভিডের প্রভাব সংক্রমণের ৬ মাসেরও বেশি সময় পরে একজন ব্যক্তির মধ্যে সনাক্ত করা যেতে পারে। তবে কোভিডের প্রভাব যদি কোনও মানুষের মস্তিষ্কের ওপর পড়ে তাহলে তা সারতে বা জ্ঞানবুদ্ধি আগের মত হতে অনেকটাই সময় নেয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে এর পুনরুদ্ধার অনেকটাই ধীর গতিতে চলে।
গবেষণার জন্য গবেষকরা কোভিডের চিকিৎসার জব্য কেমব্রিজের অ্যাডনব্রুক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৪৬ জন রোগির ওপর একটি সমীক্ষা করেছিল। তাদের যাবতীয় তথ্য পরীক্ষা করে দেখেই এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। তাদের তীব্র অসুস্থতার প্রায় ৬ মাস পরে রোগীদের বিষদ জ্ঞানের পরীক্ষা করতে বলা হয়েছিল। যা তাদের স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ, যুক্তি পরীক্ষা করে। রোগীদের গ্রুপ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলগুলি একটি নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- স্কুলে রাখতে হবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার-রাজ্য জুড়ে নতুন করোনা বিধি জারি
আরও পড়ুন- ফের দেশে উর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ, আশঙ্কা বাড়ছে একাধিক রাজ্যে, কী খবর কলকাতার