COVID-19 third wave: ফেব্রুয়ারিতে আছড়ে পড়বে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ: আইআইটি বিজ্ঞানী

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতেই দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ। প্রতি দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে এক থেকে দেড় লক্ষ। 

Parna Sengupta | Published : Dec 7, 2021 8:51 AM IST

করোনার (SARS-CoV2) তৃতীয় তরঙ্গ (third wave of coronavirus) নিয়ে নয়া সতর্কতা আইআইটি বিজ্ঞানীদের। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতেই(February) দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ। প্রতি দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে এক থেকে দেড় লক্ষ। আইআইটি বিজ্ঞানী মণীন্দ্র আগরওয়াল জানিয়েছেন মানুষকে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট(new variant) ওমিক্রনের (Omicron) সংক্রমণ্যতার কথা মাথায় রেখে আরও সতর্ক হতে হবে। তবে দ্বিতীয় তরঙ্গের মতো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে না করোনার তৃতীয় তরঙ্গ।

আইআইটির এই গবেষক জানান, নতুন যে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে তা হল যে ভারতে ফেব্রুয়ারির মধ্যে তৃতীয় তরঙ্গের প্রকোপ শুরু হবে। তবে এটি দ্বিতীয় তরঙ্গের চেয়ে হালকা হবে। কারণ এখনও পর্যন্ত ডেল্টা ভেরিয়েন্টের মত মারণ নয় ওমিক্রনের তীব্রতা। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মণীন্দ্র আগরওয়াল বলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন আক্রান্ত রোগিদের শারীরিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন যে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। ভাইরাস এবং হাসপাতালে ভর্তির উপর একটি নতুন ডেটা আরও বিশ্বাসযোগ্য চিত্র পেতে সহায়তা করবে।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানাচ্ছেন অন্য কথা। স্বামীনাথন এদিন জানান, ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রভাবশালী স্ট্রেন, এবং এই ভেরিয়েন্টেরর সংক্রমণযোগ্যতা সম্পর্কে যথেষ্ট ডেটা পেতে সময় লাগবে। তিনি আরও বলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে সে দেশে আরও বেশি শিশু এই স্ট্রেনে আক্রান্ত হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা করোনা পরীক্ষার হার বাড়িয়েছে। ফলে আরও বেশি সংখ্যায় আক্রান্তের খোঁজ মিলছে।

তিনি উল্লেখ করেন যে অনেকগুলি কোভিড -১৯ টিকা শিশুদের জন্য তৈরি হয়নি বা পাওয়া যাচ্ছে না। শুধুমাত্র কয়েকটি দেশ শিশুদের টিকা দিচ্ছে। শিশুদের জন্য ভ্যাকসিনের অনুপস্থিতি কোভিড - ১৯ সংক্রমণের বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে এদিন সতর্ক করেন তিনি। 

হু-র প্রধান বিজ্ঞানীর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, শিশুদের জন্য অনেক টিকা পাওয়া যায় না এবং খুব কম দেশেই শিশুদের টিকা দেওয়া হয়। শিশু এবং টিকা না পাওয়া ব্যক্তিরা বেশি সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও শিশুদের উপর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব সম্পর্কে তথ্যের অনুসন্ধান করছে। 

Share this article
click me!