কমছে সংক্রমণ, পয়লা জুন থেকে উঠে যাচ্ছে লকডাউনের বিধিনিষেধ

  • পয়লা জুন থেকে উঠে যাচ্ছে লকডাউন
  • দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঘোষণা
  • দিল্লিতে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা
  • ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে ১১০০ জন করোনা আক্রান্ত 
     

Asianet News Bangla | Published : May 28, 2021 10:05 AM IST

স্বস্তির খবর। পয়লা জুন থেকে উঠে যাচ্ছে লকডাউন। এই সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত অবশ্য আগেই দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই সিদ্ধান্তে এবার সিলমোহর পড়ল। শুক্রবার কেজরিওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন পয়লা জুন থেকে দিল্লিতে আর লকডাউনের বিধি নিষেধ থাকবে না। 

৩১শে মে শেষ হচ্ছে লকডাউন। এর ফলে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবে নয়াদিল্লি। কেজরিওয়াল নির্মাণ কাজ ও কলকারখানা খুলে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন পয়লা জুন থেকে। দিল্লিতে ক্রমশ কমছে করোনা সংক্রমণ। তাই সেদিকে নজর রেখে লকডাউন তুলে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল বলেছেন সোমবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। তারপরেই সকাল ছটা থেকে স্বাভাবিক গতিতে কাজ হবে দিল্লিতে। 

 

করোনা সংক্রমণের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৫ শতাংশে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব করোনা টিকা দিল্লিবাসীর প্রত্যেককে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। তবে খুব তাড়াতাড়ি ভারতে হানা দিতে চলেছে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ। সেজন্য প্রত্যেককে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। তবে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে চিন্তার কিছু নেই বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। 

গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে ১১০০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। ১৯শে এপ্রিল প্রথম দিল্লিতে লকডাউন পর্ব শুরু হয়। পরে একাধিকবার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়ে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। 

দিল্লির স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে গত পাঁচ সপ্তাহের লকডাউনে করোনা সংক্রমণের হার কমে এসেছে। ২৮ হাজার দৈনিক সংক্রমণ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১১০০। ফলে বেশ আশাবাদী রাজ্য সরকার।

এদিকে, প্রায় ৪৪ দিন পরে  স্বস্তি দিয়ে শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের অনেকটাই কমে গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড ১৯এ আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৬ হাজারেরও বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারেও বেশি মানুষের। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় সুস্থ হয়ে যাওয়ার মানুষের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। 

দেশে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ২ কোটি ৭৫ হাজারের বেশি। করোনা বিশ্বে আক্রান্তের ক্রমতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। করোনা সংক্রমণের প্রথম তরঙ্গের তুলনায় দ্বিতীয় তরঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মক আকার নিয়েছিল। দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল মৃত্যুর সংখ্যাও। দৈনিক মৃত্যু হয়েছিল ৪ হাজারেও বেশি মানুষের। 

Share this article
click me!