করোনার সেকেন্ড ওয়েভে কিভাবে রক্ষা করবেন নিজেকে, জেনে নিন ৫ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

  • কোভিড পরিস্থিতি সঙ্কটজনক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে
  • আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে
  • এই আতঙ্ক সর্বব্যাপী রূপ নিয়েছে
  • করোনা আক্রান্ত হলে কি করবেন

Asianet News Bangla | Published : Apr 22, 2021 8:38 AM IST

করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে সারাদেশে কোভিড পরিস্থিতি সঙ্কটজনক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। করোনা সংক্রমণের এমন জটিল পরিস্থিতিতে দেশ এবং রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির ঘাটতির জন্য এই আতঙ্ক সর্বব্যাপী রূপ নিয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত হলে কি করবেন, কোথায় যাবেন, কিভাবে পরীক্ষা করবেন এই বিষয়গুলি এখনও কারও কাছে পরিষ্কার নয়। তবে কোভিডের হালকা উপসর্গ থাকলে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসার পরামর্শ দিচ্ছেন, তবে যাদের আলাদা ঘরে থাকার মতন ব্যবস্থা নেই তাঁরা কিভাবে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাবেন। তবে এ.এইচ.এস.ডি পশ্চিমবঙ্গের অনুপ রায় (সভাপতি) ও মানস গুমটা (সাধারণ সম্পাদক)  সদ্যসরা সাধ্যমত সাধারন মানুষকে সহায়তা করার অঙ্গীকার করেছেন এবং ২৪ ঘন্টা পাশে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করছেন। 

কোভিডের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়-

১) কোভিডের উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সরকারি হাসপাতালে যে কোনও জায়গায় এই পরামর্শ পাওয়া যাবে। তারাই জানিয়ে দেবে আপনার করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন আছে কি না। 

২) যাদের করোনার উপসর্গ আছে, বা যারা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদেরই এই পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। সাধারণত সমস্ত কোভিড ইউনিটেই এই ফিভার ক্লিনিক চলঠে। বেসরকারী ক্লিনিকে করাতে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ লাগবে। 

৩)  করোনা পজেটিভ হলে চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই, কারণ করোনা আক্রান্তের ৮০ শতাংশ রোগী সাধারণ চিকিৎসার ফলেই সেরে ওঠে। করোনা রিপোর্ট রাজ্যের কেন্দ্রীয় কোভিড পোর্টালে আপলোড করা হয় বলে, স্বাস্থ্য দফতরের থেকে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তারাই ঠিক করে দেবে আপনি কোন হাসপাতে ভরতি হবেন। 

৪) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া। একথা মনে রাখতে হবে সমস্ত অ্যাম্বুলেন্স করোনা রোগী বহন করে না, তাই অ্যাম্বুলেন্স না পেলে স্বাস্থ্য দফতরের কোয়ারেন্টাই সেন্টার নিয়ে যাওয়া দায়িত্ব, তাই প্রয়োজনে তারাই ডেডিকেটেড অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে।  এর জন্য কোভিড মনিটারিং সেল এ যোগাযোগ করতে হবে।

৫) পরিবারের সদস্য কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি থাকলে তাকে দেখতে হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতি নেই, এর জন্য হাসপাতালের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে সর্বত্র নিজের বাড়ি থেকে শুরু করে বন্ধু মহলে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি যেমন মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন নিয়ে অন্যকে নিতে উৎসাহ দেওয়া এগুলির পাশাপাশি সরকারি স্বাস্থ্য বিধির পালন করার বিষয়ে নজর রাখুন। 

Share this article
click me!