করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এতদিন ধরে নমুনা পরীক্ষায় জোর দিয়েছিল আইসিএমআর বা ইন্ডিয়ার কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ। রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে এই মর্মে একাধিক নোটিশও পাঠান হয়েছিল। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার প্রকাশিত সংস্থার গাইডলাইনে বলা হয়েছে, পরীক্ষার চাপ কমাতে আরটি পিসিআর টেস্টের পরিমাণা হ্রাস করতে হবে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ৪ মে পর্যন্ত দেশে ২৯ কোটিরও বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শুধুমাত্র মঙ্গলবারই ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
যেসব ক্ষেত্র আরটি পিসিআর টেস্টের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে আইসিএমআর সেহুলি হলঃ
এক জন ব্যক্তি ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পজেটিভ হয়েছেন
একজন ব্যক্তি একবার আরটি পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে পজেটিভ হয়েছে
এক ব্যক্তি গত তিন ধরে কোনও জ্বর ছাড়াই ১০ দিন বাড়িকে বিচ্ছিন্নতার মেয়াদ শেষ করেছেন
হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জের সময়
একজন স্বাস্থ্যকর ব্যক্তি আন্তঃদেশীয় ভ্রমণ শুরু করেছেন সেক্ষেত্র। যদিও এই ক্ষেত্রে রাজ্যগুলি আরটি পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট সঙ্গে আনার কথা বলছে। কিন্তু পরীক্ষাগারের চাপ কমাতে এই সব ক্ষেত্রে আর নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছ আইসিএমআর।
কখন হবে আরটি পিসিআর টেস্টঃ
দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে নেগেটিভ চিহ্নিত ব্যক্তিদেরই আরটি পিসিআর পরীক্ষা করা উচিৎ।
বর্তমানে ভারতে ২৫০৬টি পরীক্ষাগার রয়েছে। যেখানে আরটি পিসিআর, ট্রুনাট, সিবিএনএএটি ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রায় ১৫ লক্ষ পরীক্ষার বিশ্লেষণ করতে পারে। কিন্তু হঠাৎ আরটি সিপিআর পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে গেছে। যাতে চাপ বাড়ছে পরীক্ষাগারগুলিতে। একটি আরটি পিসিআর পরীক্ষা প্রক্রিয়া ৭২ ঘণ্টা সময় নিচ্ছে। তাই সমগ্র পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে গণ শনাক্তকরণে জন্য ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ওপরেই জোর দিয়ে আরটি পিসিআর টেস্ট কমানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে আইসিএমআর। গ্রাম, শহর, অফিস, স্কুল বিভিন্ন জায়হায় এই পরীক্ষার অনুমোদিত হতে পারে।
আইসিএমআর আরটি পিসিার বা ব়্যাপিট অ্যান্টিজেন টেস্টের ফর্মে টিকাসংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। আইসিএমআর জানিয়েছে এটি গুরুত্বপূর্ণ। ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর হচ্ছে তাও বোঝা যাবে।