চিনে কি আছড়ে পড়ল কোভিড-তরঙ্গ, নতুন করে লকডাউনের পথে বেজিং-সহ বড় শহর

চিন যখন লকডাউনের পথে তখন হংকং নতুন করে নিরাপদ সামাজিক দূরত্বের ওপর ডোর দিচ্ছে।  বর্তমানে চিনে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়েছে।

Web Desk - ANB | Published : Mar 14, 2022 11:04 AM IST

গত দুই বছর করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সঙ্গে লড়াই করে ক্লান্ত বিশ্ব। বিশ্ব জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নিম্মগামী। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে মানুষ। এই অবস্থায় নতুন করে আঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে চিনের (China) কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রমণ। চিনে ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা।  সংক্রমণ রুখতে নতুন করে জারি করা হয়েছে লডডাউন (Lockdown)। রবিবার রাজধানী বেজিং-এর ছিল লকডাউন। গৃহবন্দি হয়েই ছুটির দিটটি কাটিয়েছেন শহরের প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি মানুষ। 

২০১৯ সালে শেষের দিকে চিনে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল করোাভাইরাসের জীবাণু পরবর্তীকালে এই ভাইরাস ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্ব। মহামারির আকায় নেয়। স্তব্ধ হয়ে যায় জীবন। তারপর থেকে প্রায় দু বছর করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। স্বাভাবিক হয়েছে জনজীবন। কিন্তু এই অবস্থাতে নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে চিনে। চিনে সোমবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৪৩৬ জন। যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম হল। কোনও কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চিন রাজি নয় বলেও লকডাউন ডাকা হয়েছে বলেও চিন প্রশাসন সূত্রের খবর। 

চিন যখন লকডাউনের পথে তখন হংকং নতুন করে নিরাপদ সামাজিক দূরত্বের ওপর জোর দিচ্ছে।  বর্তমানে চিনে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি গণপরীক্ষার ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণের ওপরেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

চিনের উত্তর পূর্বে এরটি এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। ৯ মিলিয়ন জনসংখ্যার চিংচুন প্রদেশে জারি করা হয়েছে লকডাউন। বেজিংএ বাড়ি থেকে বার হতে নিষেধ করা হয়েছে। সাংহাইতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল। শেনজেনে বাড়ানো হয়েছে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সংখ্যা।  কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে হাউসিং কমপ্লেক্সগুলিতে। 

চিনের সেন্টার ফর ডিজিড কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের  একটি সমীক্ষা চালিয়ে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে বলেও জানিয়েছে। তাই মাক্স জরুরি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিনা নাগরিকদের। অন্যদিকে প্রয়োজন হলে লকডাউন ঘোষণারও পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি ভ্রমণে আসা ব্যক্তিদের জন্য় ২ সপ্তাহের কোরায়েন্টাইনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশ্বে যখন কোভিড প্রাদুর্ভাব কমছে তখন চিন নতুন করে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণ রুখতে প্রথম থেকে সর্কত রয়েছে বেজিং। 

Share this article
click me!