বাতাস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করেই আধুনিক পদ্ধতিতে অক্সিজেন উৎপাদন করবে ডিআরডিও বা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। ভারতীয় সেনার এই গবেষণা সংস্থা এবার অক্সিজেন তৈরিতে হাত লাগাবে। ডিআরডিও-র উদ্যোগে মুর্শিদাবাদে তৈরি হচ্ছে উচ্চ মানের অক্সিজেন প্ল্যান্ট।
প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় অক্সিজেনের অভাব দূর করতে এবার মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে বসছে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্রে এমনটাই জানানো হয়। স্বভাবতই খুশি জেলাবাসী। দিন দিন অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েই চলেছে। সাধারণ মানুষ অক্সিজেনের জন্য দিশেহারা। এমন পরিস্থিতিতে শহরে জরুরি হয়ে পড়েছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট।
সাধারণ মানুষ এই নিয়ে স্থানীয় নেতামন্ত্রীদের কাছে দাবিও জানাচ্ছিলেন। দ্রুত জঙ্গিপুরের সাংসদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। ডিআরডিও ও হাইওয়ে অথরিটির একদল প্রতিনিধি জঙ্গিপুর হাসপাতাল পরিদর্শনেও আসেন। পরিদর্শন শেষে তাঁরা একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টের কথা ঘোষণা করেন। হাসপাতালের সুপার সায়ন দাস এ ব্যাপারে জানান , অক্সিজেনের চাহিদার কথা ভেবে একটি প্ল্যান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী একদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। আশাকরি খুব শীঘ্রই অক্সিজেনের সমস্যা মিটে যাবে"।
এদিকে করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের টানাটানি। কালোবাজারির সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে অক্সিজেনের বাড়তি বিল নেওয়ারও। এমন পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন(ডিআরডিও) জঙ্গিপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর উদ্যোগ নেয়।
ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল হাসপাতাল ঘুরে দেখেন। তারপর, প্ল্যান্ট বসানোর কথা ঘোষণা করেন। এই উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন প্ল্যান্টটি বাতাস থেকে অক্সিজেন তৈরি করবে। তাতে দৈনিক প্রায় ২০০ জন রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়া, দৈনিক প্রায় ১৫০ বার সিলিন্ডার ভর্তি করা সম্ভব হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন," এই প্ল্যান্টের কাজ শুরু হলে এলাকাবাসী শুধু উপকৃত হবেন এমন নয় পুরো জেলার মানুষ যথেষ্ট ভাবেই সমস্যার হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে"।