দেশের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের প্রাপ্যতা বাড়তে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় তা নিয়ে শুক্রবারের পর শনিবারও আলোচনায় বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জোর দিয়েছেন হাসপাতাল ও বাড়িতে কোভিড আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় যে সব সরঞ্জাম প্রয়োজন তা যেন দ্রুততার সঙ্গে সরবরাহ করা হয়। আক্রান্তদের পরিষেবার কেন্দ্রের সবকটি মন্ত্রককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অবহিত করা হয়েছিল যে সম্প্রতী রেমডেসিভিও এপিআইতে কাস্টম ডিউটি বা শুল্ক ছাড় রয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী এজাতীয় সরঞ্জামে দ্রিত কাস্টমের ছাড়পত্র যাতে হত তার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। কোভিড ভ্যাকসিক আমদানির ক্ষেত্রেও প্রাথমিক শুল্কের ওপর প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে।
যেসব সরঞ্জামের প্রাপ্যতা সহসাধ্য করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সেগুলি হল
মেডিক্যাল অক্সিজেন
অক্সিজেন নিয়ন্ত্রণের জন্য ফ্লোমিটার, রেগুলেটার, কানেক্টটর ও ট্যাবিং
ভ্যাকুয়াম প্রেসার সুইং
অক্সিজেন প্ল্যান্টের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম
অক্সিজেন ক্যানিস্টার
অক্সিজেন লিপিং সিস্টেম
অক্সিজের স্টোরেজ ট্যাঙ্কস
অক্সিজেন জেনারেটর
অক্সিজেনের জন্যআইএসও ধারক
অক্সিজেনের জন্য ক্রায়োজেনিক রোড পরিবহরন ট্যাঙ্ক
ভেন্টিলেটর, ভাইরাল ফিল্টার সহ একাধিক প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এই আইটেমগুলির প্রাপ্যতা বাড়িতে তোলার পাশাপাশি এগুলি যাতে সকল মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকে সেদিকেও নজর দিতে বলেছেন নরেন্দ্র মোদী। করোনাভাইরাসের সংকটের এই সময় অক্সিজেন ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের উন্নতির জন্য গত কয়েকদিন ধরে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুর থেকে দেশে এসে পৌঁছেছে ক্রইওজেনিক অক্সিজেন ট্যাঙ্ক। ভারতীয় বিমান বাহিনী ও ভারতীয় রেলকে ব্যবহার করা হচ্ছে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার এক স্থান থেকে অন্যত্র সরবরাহের জন্য। করোনার সঙ্গে লড়াই করার জন্য আগামী দুমাস দেশের আর্থিক পিছিয়ে পড়া ৮০ কোটি মানুষকে পাঁচ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও বিভাগীয় পদস্থ আধিকারিকরা।