গ্রামীণ ভারতেকে কোভিড মহামারি থেকে বাঁচাতে পারে টিকা, SBI-র রিপোর্টে অর্থনীতি নিয়েও উদ্বেগ

  • করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে 
  • আক্রান্ত হচ্ছে গ্রামের মানুষও 
  • গ্রামীণ এলাকায় সংক্রমণ মোকাবিলা কঠিন 
  • একমাত্র রাস্তা হল টিকা প্রদান 
     

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে গ্রামীণ ভারতকে বাঁচানোর একমাত্র রাস্তাই হল টিকা। সদ্যো প্রকাশিত এসবিআই (SBI)র প্রতিবেদনে তেমনই দাবি করা হয়েছে। সেখানে হয়েছে গোটা দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। নতুন আক্রান্তের তালিকায় অর্ধেক স্থান জুড়ে রয়েছে গ্রামের বাসিন্দারা।

Latest Videos

দৈনিক আক্রান্ত
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে ভারতের দৈনিক পরিসংখ্যা ৪ লক্ষে গিয়ে ঠেকেছে। দেশে মোটা আক্রান্তের সংখ্যা ২.১৫ কোটি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ভারতের করোনা পরিস্থিতি রীতিমত শোচনীয়। এই অবস্থায় বিশ্বের একাধিক দেশই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ, অক্সিজেন, ভ্যাকসিনসহ একাধিক মেডিক্যাল সরঞ্জাম পাঠাতে শুরু করেছে।  সেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে এই রিপোর্ট।
 
আক্রান্ত জেলা 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আক্রান্তের ক্রমতালিকায়র শীর্ষে থাকা দেশের মোট ১৫টি জেলায় মে থেকেই সংক্রমণের পরিমাণ বাড়তে থাকে।  যা প্রায় ২৩,৩ শতাংশ বেড়ে যায়। মার্চ মাসের তুলনায় ৫৫ শতাংশ সংক্রমণ বেড়ে ছিল বলেও দাবি করা হয়েছে। এসবিআই গ্রুপের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সৌম্যকান্ত ঘোষ বলেছেন নতুন ক্ষেত্রে গ্রামীণ জেলাগুলিতে দেখা গেছে মার্চ মাসেও সংক্রমণের মাত্রা যেখানে ছিল ৩৬.৮ শতাংশ সেখানে মে মাসে সংক্রমণের মাত্রা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮.৫ শতাংশে। 

টিকা জরুরি
ভ্যাকসিনই একমাত্র করোনা মহামারিতে লাগাম পরাতে পারে। কারণে সংক্রমণ রুখতে সবথেকে জরুরি হলে জনসাধারণের মানষিকতা। দেশের অধিকাংশ মানুষকে টিকা না দেওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি আয়ত্বে আসবে না বলেও দাবি করা হয়েছে সংস্থার রিপোর্টে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়াটিকে আরও বাড়তে হবে। সংক্রমণের তীব্রতা হ্রাস করার এটাই হবে প্রাথমিক শর্ত। সৌম্যকান্ত ঘোষ দ্বিতীয় তরঙ্গকে রুখতে কিছুদিনের জন্য অর্থনৈতিক কার্যক্র স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে টিকা মিশন মোডে চালানোর কথাও বলেছেন। 

১৫টি জেলা শোচনীয় 
জেলা ভিত্তিক হিসেবও দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে  মার্চ মাস পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের১১টি জেলার অবস্থা খারাপ  ছিল। অন্ধ্র প্রদেশেরের ৫টি কেরলের ২টি, কর্ণাটক ও রাজস্থানের একটি করে জেলার অবস্থা খারাপ ছিল। মার্চ মাস থেকেই ছত্তিশগড়ের গ্রামীণ এলাকার করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে। 

টিকা কর্মসূচিতে জোর 
দেশের টিকা কর্মসূচি নিয়েও মুখ খুলেছেন সৌম্যকান্ত ঘোষ। তিনি বলেছেন দেশে টিকা কর্মসূচিতে এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসেনি। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩কোটি ১৫ লক্ষ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৩ কোটির বেশি মানুষ। করোনা টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন ১৯ শতাংশের কম মানুষ । যা এপ্রিলের গড়ের তুলনায় কিছুটা হলেও কম। টিকাকর্মসূচি এভাবে চলতে অক্টোবরের মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংস ভারতীয় নাগরিককেই টিকা দেওয়া যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবলে প্রতিদিন যদি ৫৫ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া যায় তাহলে পরিস্থিতি আয়ত্বে আসতে পারে। 

লকডাউনের প্রভাব অর্থনীতিতে 
দেশের ২০টি রাজ্যে বিভিন্ন স্তরে লকডাউন চলছে। প্রভাব পড়তে শুরু করেছে অর্থনৈতিক দিকেও। অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন সৌম্যকান্ত ঘোষ। রেটিং ডাউনগ্রেডের সংখ্যা এপ্রিলের তুলনায় ৩.৭ গুণ বেশি। এসবিআই এর ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপের সূচকও এপ্রিল মাসের তুলনায় ৭১.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই অবস্থায় ১০.৪ শতাংশ জিডিপি গ্রোথ নাও হতে পারে। তবে এসবিআই-এর রিপোর্ট জিডিপি নিয়ে কোনও পূর্বভাস দেওয়া হয়নি। 

Share this article
click me!

Latest Videos

প্রেমের আড়ালে লক্ষাধিক টাকা লুঠ! প্রতারণার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি | South 24 Parganas News Today
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
West Bengal-এ জঙ্গিযোগ নিয়ে Mamata Banerjee-কে চরম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর! দেখুন কী বললেন
'তৃণমূলের দুয়ারে সরকার এখন দুয়ারে জঙ্গি', তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari
চমকে উঠবেন! কৃষ্ণনগর পক্সো আদালতের বড় সাজা ঘোষণা | Nadia Latest News