এক মাসের জন্যই করোনা লড়াইয়ে হার, মহামারি রুখতে WHO আগেই জরুরি অবস্থা জারি করতে পারত

Published : May 12, 2021, 06:30 PM ISTUpdated : May 13, 2021, 02:14 PM IST
এক মাসের জন্যই করোনা লড়াইয়ে হার, মহামারি রুখতে  WHO আগেই জরুরি অবস্থা জারি করতে পারত

সংক্ষিপ্ত

করোনা মহামারি রুখতে পারত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  এক মাসের জন্যই করোনার বিরুদ্ধে লডাইয়ে হার  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেই দাবি স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সঠিক সময় গ্রহণ করা হয়নি 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে আগেই ব্যবস্থা নিয়েও উচিৎ ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাWHOর। তেমন দাবি করেছে একটি বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল। বলা হয়েছে. রোগের প্রাদুর্ভাবের তদন্তের জন্য বিশ্বব্যাপী ব্যবস্থা স্থাপন করা উচিৎ। একই সঙ্গে বিশ্ব  স্বাস্থ্য সংস্থাকে সংক্ষিপ্ত নোটিশে তদন্তকারী মোতায়েন করার ও তাদের ফলাফল প্রকাশের ক্ষমতা দেওয়া উচিৎ বলেও দাবি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের প্যালেনের পর্যালোচনায় বলা হয়েছে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারির আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উচিৎ ছিল চিনে নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে আন্তর্জাতিক জরিরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করা। কিন্তু সঠিক সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এক মাস সময় নষ্ট হয়েছে। প্রায় একমাস  পরে বিশ্বের একাধিক দেশের নাগরিকরা যখন শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছে  ভুগতে শুরু করেছে তখনও কঠোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। 

স্বাধীন এই বিশেষজ্ঞদের দলটি মহামারি পরিস্থিতি পরিচালনায় ক্ষেত্রে হুএর ভূমিকার সমালোচনা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কার ও পুনর্জীবনের জন্য আরও একটি ভ্রান্ত পথ নেওয়ার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।  কোভিড ১৯: এটাই শেষ মহামারি- এই রিপোর্টে  নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সীমাবদ্ধ ক্ষমতার দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অন্যদিকে লাইবেরিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জনসন সেরলিফ বলেছেন বিশ্ব ব্যাপী একটি নতুন নজরদারী ও সতর্কতা ব্যবস্থার কথা বলেছেন। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যাতে তথ্য প্রকাশ করে সেদিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০১৯ সালের শেষের দিকে চিনের উহান শহর থেকে  সার্স কোভ২ ভাইরাসরটি ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে তাই মহামারির আকার ধারন করে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ৩.৪ মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে। মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিও প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমান যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা রোধ করা যেত। কিন্তু একটি ব্যর্থতা, শূন্যতা থাকা তা সম্ভব হয়নি। প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যেও যথেষ্ট ফারাক ছিল বলেও দাবি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন চিনের চিকিৎসকরা ২০১৯এর ডিসেম্বরেই অস্বাভাবিক নিউমোনিয়ার কথা জানিয়েছিল। তাইওয়ানের হু-র রোগ নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রগুলিকেও সতর্ক করেছিল। তারপরেই অপেক্ষা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২২ জানুয়ারির সভার পরিবর্তে ৩০ জানুয়ারির সভায় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল হু। কিন্ত তারপরেও ভ্রমণের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। অথচ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে মহামারির ওই ভয়ঙ্কর প্রাদুর্ভাব এড়ানো যেত বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস ছিল। সেই সময় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে মহামারি প্রতিরোধ করা যেত। কিন্তু তা হয়নি। 

ভ্যাকসিন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসেক গ্লোবাল হেলথ পলিসির অধ্যাপক ক্লেয়ার ওয়েনহ্যাম বলেছেন, অনিদান মডেলের ওপর নির্ভরশীল ছিল কোভ্যাক্স নামে করোনাভাইরাসের টিকাটি। কিন্তু এপর্যন্ত উন্নয়নশীলে দেশের হাতে মাত্র ৭ শতাংশ টিকা পৌঁছেছে। কোভ্যাক্স দিয়েও সমস্যা সমাধান করা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেছেন এই সমস্যাগুলি প্রযুক্তিগত নয়। রাজনৈতিক সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর রাজনৈতিক চাপ রয়েছেন বলেও মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

প্রার্থী পদ বিক্রি ৫ কোটিতে, এই দাবির পরই নভজ্যোত সিধু ও তাঁর স্ত্রীকে সাসপেন্ড করল কংগ্রেস
৮২৭ কোটি টাকা যাত্রীদের এখনও পর্যন্ত ফেরত দিয়েছে , বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল IndiGo