শুরুটা হয়েছিল মোহালিতে ভারতকে হারিয়েই। আর শেষ হল ওভালে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং - তিন বিভাগেই পরাস্ত হয়ে। মাঝে ১০টি ম্যাচ টানা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বিশ্বকাপের ১৪তম ম্যাচে বিরাট কোহলির ভারত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল স্মিথ-ওয়ার্নারের যোগদানের পরও এখনও অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের ৩৫২ রানের জবাবে ৩১৬ রানেই গুটিয়ে গেল অজি ইনিংস। ফলে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্য়াচেও দারুণ কর্তৃত্ব রেখে বিরাট-বাহিনী ৩৬ রানে জয় পেল।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রোহিত শর্মার শতরানের পর বিরাচট কোহলি বলেছিলেন প্রতম তিন ব্যাটসম্যানের মধ্য়ে অন্তত একজনকে বড় রান পেতেই হবে - এটাই তাঁদের সঙ্কল্প। আর রবিবার একজন রা ন পেলেন তিন-তিনজনই। শুধু তাই ন.য় ব্য়াট হাতে যে কজন ভারতীয় ক্রিজে এলেন, প্রত্য়েকেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেন।
আইসিসি-র কোনও টুর্নামেন্ট এলেই গনগনে ফর্মে থাকেন শিখর ধাওয়ান - এই ধারণাকে আরও একবার মান্যতা পেল। বিশ্বকাপের অনেকদিন আগে থেকেই চেনা ছন্দে ছিলেন না ধাওয়ান। তাঁর ব্য়াটে বলে ভাল সংযোগ হলেও বড় রান পাচ্ছিলেন না। আর এদিন ১০৯ বলে ১১৭ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পথে প্রথমে রোহিত শর্মা (৫৭) ও পরে বিরাট কোহলি (৮২)-র সঙ্গে দুটি জুটি বেঁধে ভারতের বড় রানের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
এখান থেকে রানটাকে প্রায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান হার্দিক পাণ্ডিয়া (২৭ বলে ৪৮), ধোনি (১৪ বলে ২৭) ও কেএল রাহুল (৩ বলে ১১*)। এদিন হার্দিককে ৪ নম্বরে নামিয়ে একটা বড় ঝুঁকি নিয়েছিল ভারত, কিন্তু তা দারুণভাবে খেটে গিয়েছে। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্বকাপে এদিনব ভারত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খাড়া করে দেয়।
৩৫২ রান তাড়া করতে গিয়ে যে বিস্ফোরক সূচনা দরকার ছিল, অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা সেইরকম হয়নি। দুরন্ত ফর্মে থাকা ডেভিড ওযার্নারের ব্য়াটে এদিন চেনা ছন্দ দেখা যায়নি। ৮৪টি বল খেললেন, রান পেলেন মাত্র ৫৬। এই ধরণের বড় রান তাড়া করতে নেমে, ওয়ার্নারের এই ইনিংসকে এধিন অজিদের হারের জন্য অনেকাংশেই দায়ী করা যায়। অন্য প্রান্তে ফিঞ্চ ভালই খেলছিলেন, কিন্তু তিনি ১৪তম ওভারে রানআউট হয়ে যান।
এরপর স্মিথ (৬৯) ও খোয়াজা (৪২) প্রায় বল প্রতি রান নিচ্ছিলেন। তাতে স্কোরবোর্ড সচল থাকলেও ৩৫২ তাড়া করে জেতারক জন্য যে রানের গতি দরকার ছিল তা কিছুতেই আসেনি। বরং গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল (২৮) ও অ্যালেক্স কেরি (৫৫) যখন খেলছিলেন, তখন অস্ট্রেলিয়া রানটা তুলে দিতে পারে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু তাঁরা ফিরতেই অজিদের সব আশাই শেষ হয়ে যায়।
আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে খাদেরপ মুখ থেকে ফিরিয়েছিলেন নাথান কুল্টার নাইল। কিন্তু কুল্টার-নাইল'রা রোজ ৯২ রান করবেন তা তো হয় না।
এদিন ভুবনেশষ্বর কুমার ও জসপ্রিত বুমরা দুজনেই ৩টি করে উইকেট নিলেন। আর চাহাল এদিনও ২টি উইকেট নিলেন। কুলদাীপ যাদব কিন্তু উইেটবিহীনই থাকলেন।