যতটা উচ্চতায় ম্যাচ পৌঁছবে বলে ভাবা হয়েছিল, ততটা উচ্চতায় পৌঁছায়নি বিশ্বকাপ ২০১৯-এর প্রথম ম্যাচ। প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পর বোঝা যায়নি ম্য়াচ শেষ হতে পারে ১০ ওভার আগেই। কিন্তু ররান তাড়া করতে গিয়ে এমনভাবে পথ হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা, পরের ম্যাচের আগে কিন্তু তাদের অনেককিছু নিয়েই নতুন করে ভাবতে হবে। কীভাবে জিতল ইংল্যান্ড? দেখে নেওয়া যাক ম্য়াচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলি -
তাহির ম্যাজিক
টসে জিতে প্রথমে বল নিয়ে প্রোটিয়া অধিনায়ক প্রথম ওভার করতে ডেকেছিলেন লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরকে। দ্বিতীয় বলেই তিনি শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন জনি বেয়ারস্টোকে।
রয়-রুটের শতরানের জুটি
প্রথম ওভারেই উইকেট হারানোর পর ধীরে ধীরে সেই ধাক্কা সামলে উঠে নিজেদের মধ্যে শতাধিক রানের জুটি গড়েন জেসন রয় (৫৪) ও জো রুট (৫১)। দুজনেই অর্ধশতরান পান।
চার বলে দুই উইকেট
এরপর প্রথমে ফেহলুকাওইও-র বলে রয় ও ঠিক তার চার বল পরে পরের ওভারে রাবাডার বলে ফিরে যান রুট। দুই সেট ব্য়াটসম্যানকে পর পর হারিয়ে ফের সমস্য়ায় পরে ইংল্যান্ড।
আরও এক শতরানের জুটি ও মর্গানের পতন
এখান থেকে ফের একটি শতাধিক রানের জুটি গড়ে ওঠে মর্গান ও স্টোকস-একর মধ্যে। এই ক্ষেত্রেও দুজনেই অর্ধশতরান করেন। কিন্তু ফের তাহির আক্রমণে ফিরে এসে মর্গান (৫৭)-কে তুলে নেন।
ফ্লপ বাটলার
বিশ্বকাপের আগে থেকে বাটারের ধুন্ধুমার ব্যাটিং দেখার অপেক্ষা.য় রয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। এদিন কিন্তু তিনি একটি চার-ছয় না মেরে ১৬ বলে ১৮ করে এনগিদির বলে আউট হয়ে গেলেন।
নিয়মিত উইকেট পতন ও খারাপ শেষ
ইনিংসের শুরুর মতোই শেষটাও বেশ খারাপ হয় ইংল্য়ান্ডের। বেন স্টোকস ৮৯ রান করলেও যে আতশবাজির ঝলক তাঁর ব্য়াট থেকে আশা করা হয়, তা এদিন দেখা যায়নি। নিয়মিত ব্য়বাধানে উইকেট পড়ায় ডেথ ওভারে রান তোলার গতি কখনই বাড়েনি। ইংল্যান্ড ৩১১রানে ইনিংস শেষ করে।
আমলার চোট এবং ইংল্যান্ডের দারুণ শুরু
দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের শুরুতেই জোফ্রা আর্চারের বল হেলমেটে লাগায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন হাশিম আমলা। আর্চার ও ওকস-এর আঁটসাঁট বোলিং-এ পাওয়ার প্লে-র সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি প্রোটিয়ারা।
ডু প্লেসিস-এর বিদায়
আমলা চোট পেয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ায় ক্রিজে এসেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডু প্লেসিস। কিন্তু আর্চারের বলের গতি ও বাউন্স, বুঝতে না পেরে পুল মতে গিয়ে সময়ের ভুলে ক্য়াচ দিয়ে ফিরে যান ডু প্লেসিস (৫)।
থিতু হল দক্ষিণ আফ্রিকা
ডুপ্লেসিস আউট হওয়ার পর অনেকটাই গুটিয়ে গিয়েছিলেন ডি কক। তবে তাঁর ও ভ্যান ডার ডুসেনের মধ্যে বড় রানের জুটি গড়ে ওঠে। অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ডিকক।
ডি ককের পতন
যতক্ষণ ডি কক ছিলেন ততক্ষণ আশা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু প্লাঙ্কেটের একটি বল শাফল করতে গিয়ে ব্যাটের নিচের কানায় লেগে ফাইন লেগে ডো রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন তিনি। করেন ৬৮ রান।
প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ে নামল ধস
ডি কক আউট হতেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। ডুমিনি (৮) অযথা শট মারতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দেন। প্রিটোরিয়াস (১) আবার অযথা রান নেওয়ার শিকার হয়ে রান আউট হন। অর্ধশতরান করার পরেই ফিরে যান ভ্যান ডার ডুসেন (৫০)-ও। তিনিও জোফ্রা আর্চারের গতির শিকার।
ফের মাঠে আমলা এবং কফিনে শেষ পেরেক স্টোকস-এর
এরপর চোট পাওয়া আমলা (১৩) ফের মাঠে ফিরে আসেন। ফেহলুকাওইও-কে সঙ্গে নিয়ে তিনি ভালোই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু, দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন বেন স্টোকস। এক অবিশ্বাস্য ক্য়াচ নিয়ে তিনি ফিরিয়ে দেন ক্রমশ ভয়ঙ্কর হতে থাকা ফেহলুকাওইও (২৪)-কে।
গুটিয়ে গেল লেজ, ইংল্যান্ডের বিশাল জয়
এখান থেকে দ্রুতই গুটিয়ে যায় তাদের ব্যাটিং লেজ। ৩৯.৫ ওভারে মাত্র ২০৭ রানেই শেষ হল তাদের ইনিংস। ইংল্যান্ড জয় পেল ১০৪ রানে।