সিডনিতে (Sydney) অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্য়ান্ডের (Australia vs England) অ্য়াসেজ সিরিজের (Ashes Sereis) চতুর্থ টেস্ট। ড্র (Draw) হল ম্য়াচ। এক উইকেটের জন্য জয় অধরা রয়ে গেল প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins) দলের। সিরিজের প্রথম ম্য়াচ বাঁচাল জো রুটের (Joe Root) দল।
একেবারে জয়ে দোরগাড়ায় এসেও সিডনিতে (Sydney) অ্যাসেজ সিরিজে (Ashes Sereis) চতুর্থ টেস্ট জেতা হল না অস্ট্রেলিয়ার (Australia)। মাত্র এক উইকেটের জন্য ৫ ম্য়াচের সিরিজে জো রুটের (Joe Root) দলকে 'হোয়াইট ওয়াশ' করার সুযোগ হাত ছাড়া হল প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins)দলের। সিডনিতে ম্য়াচের পঞ্চম দিনে প্রথমে জ্যাক ক্রাউলি, বেন স্টোকসের অর্ধশতরান ও শেষের দিকে জনি বেয়ারস্টো, জ্যাক লিচ, স্টুয়ার্ট ব্রডের চোয়াল চাপা লড়াইয়ের ফলে ম্য়াচ ড্র করতে সক্ষম হতে হয় ব্রিটিশ লায়ন্সরা। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়ারা ৩৮৮ রানের টার্গেট তাড়া করে নেমে ইংল্য়ান্ডের ২৭০ রানে ৯ উইকেটে শেষ হয় পঞ্চম দিনের খেলা। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্য়ান্ডের (England) হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন জ্যাক ক্রাউলি। ৬০ রান করেন বেন স্টোকস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন স্কট বোল্যান্ড। চতুর্থ টেস্ট ড্রয়ের ফলে ৫ ম্য়াচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে রইল ব্য়াগি গ্রিনরা।
রবিবার পঞ্চম দিনে বিনা উইকেটে ৩০ রান থেকে খেলা শুরু করে ইংল্য়ান্ড দল। পঞ্চম দিনের শুরুতে প্রথম উইকেট পেতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। ৪৬ রানে প্রথম উইকেট পড়ে ইংল্য়ান্ডের। ৯ রান করে স্কট বোল্যান্ডের বলে আউট হন হাসিব হামিদ। একদিক থেকে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন জ্যাক ক্রাউলি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেো ফ্লপ হন ডেভিড মালান। দলের ৭৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩ রানে ন্য়াথান লিঁয়র বলে আউট হন তিনি। অন্যদিক থেকে একাই স্কোরবোর্ড চালিয়ে যান ক্রাউলি। নিজের অর্ধশতরানো পূরণ করেন তিনি। তবে দলের ৯৬ রানে ক্যামেরন গ্রিনের শিকার হন ক্রাউলি। ব্যক্তিগত ৭৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ইংল্য়ান্ডের ইনিংস কিছুটা ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক জো রুট ও বেন স্টোকস। দুজন মিলে ৬০ রানের পার্টনারশিপও করেন। কিন্তু বড় স্কোর করতে ব্যর্থহন রুট। দলের ১৫৬ রানে ব্যক্তিগত ২৪ রানে আউট হন রুট। বোল্য়ান্ডের বলে আউট হন তিনি।
প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও অর্ধশতরান করেন বেন স্টোকস। তবে ব্যক্তিগত ৬০ রান করে আউট হন তিনি। দলের ১৯৩ রানে স্টোকসের উইকেট হারায় ইংল্য়ান্ড। ন্যাথান লিঁয়র বলে আউট হন তিনি। এরপর জনি বেয়ারস্টো একদিকে উইকেট কামড়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও ব্যর্থ হন জস বাটলার। দলের ২১৮ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট পড়ে ইংল্য়ান্ডের। ১১ রান করে কামিন্সের শিকার হন তিনি। খাতা না খুলেই কামিন্সের বলে আউট হন মার্ক উড। ব্যক্তিগত ৪১ রানে আউট হন বেয়ারস্টোও। বোল্যান্ড তাকে সাজঘরের রাস্তা দেখান। ২৩৭ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু স্টুয়ার্ট ব্রড ও জ্যাক লিচমিলে ৩৭ রানের পার্টনারশিপ করে অজিদের আশায় অনেকটাই জল ঢেলে দেয়। ২৭০ রানের মাথায় স্মিথের বলে ব্যক্তিগত ২৬ রানে লিচ আউট হয়। শেষে উইকেটে আর নিতে পারেনি অজি বোলাররা। হার বাঁচিয়ে দেন ব্রড ও অ্যান্ডারসন। ১৪ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে সিরিজের শেষ ও পঞ্চম টেস্ট। হোবার্টে দিন-রাতের টেস্ট দিয়ে শেষ হবে এবারের অ্য়াসেজ।