আইপিএল ২০২২-এর মেগা ফাইনালে (IPL 2022 Final) চ্য়ানম্পিয়ন গুজরাট টাইটানস। ৭ উইকেটে হারাল রাজস্থান রয়্যালসকে। ( GT vs RR)। প্রথমে ব্য়াট করে ১৩০ রান করল রাজস্থান রয়্যালস। ১১ বলে আগে জয় পায় হার্দিক পান্ডিয়ার দল।
পুরো মরসুম জুড়ে দুরন্ত ক্রিকেট খেলার পর ফাইনালেও একতরফা ম্য়াচে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে আইপিএল ২০২২ চ্যাম্পিয়ন হল গুজরাট টাইটানস। ফাইনালে ব্যাটে-বলে অনবদ্য গুজরাট। ফাইনালে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে অলরাউন্ড পারফরম্য়ান্স করলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৭ উইকেট ফাইনাল জিতল গুজরাট। অপরদিকে ১৪ বছর পর ফাইনালে উঠলেও হতাশাই সঙ্গী হল রাজস্থানের। ম্য়াচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করল রাজস্থান রয়্যালস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন জস বাটলার। এছাড়া ২২ রান করেন যশশ্বী জয়সওয়াল। এছাড়া কোনও রাজস্থান ব্যাটসম্যান ২০ রানের গণ্ডী টপকাতে পারেননি। গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। রান তাড়া করতে নেমে ১১ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় গুজরাট টাইটানস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন শুবমান গিল। ৩৪ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া ও ৩২ রান করেন ডেভিড মিলার। ফাইনাল জয়ের উৎসবে মাতলেন গোটা গুজরাট।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি রাজস্থান রয়্যালস। এদিন ওপেনিং করতে নেমে ৩১ রানের পার্টনারশিপ করেন জস বাটলার ও যশশ্বী জয়সওয়াল। ব্যক্তিগত ২২ রান করে যশ দয়ালের বলে আউট হন যশশ্বী জয়সওয়াল। এরপর সঞ্জু স্য়ামসন ও জস বাটলারের সঙ্গে ২৯ রান জুটিতে যোগ করলেও বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন রাজস্থান অধিনায়ক। দলের ৬০ রানের মাথায় ১৪ রান করে রাজস্থান অধিনায়ক আউট হন গুজরাট টাইটানস অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার বলে। বড় রান করতে পারেননি দেবদূত পাড়িকলও। দলের ৭৯ রানের মাথায় ২ রান করে রাশিদ খানের বলে আউট হন পাড়িকল। পরপর উইকেট হারানোয় চাপ বাড়ে বাটলারের উপর। দলের ৭৯ রানের মাথায় ফের বড় উইকেট শিকার করেন হার্দিক। ৩৯ রান করে আউট হন জস বাটলার। দলের ৯৪ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট পড়ে রাজস্থান রয়্যালসের। ১১ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার তৃতীয় শিকার হন শিমরন হেটমায়ার। ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দলের ৯৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬ রান করে সাই কিশোরের বলে আউট হন অশ্বিন। ১১২ রানে পড়ে সপ্তম উইকেট। ১১ রান করে সাই কিশোরের বলে আউট হন ট্রেন্ট বোল্ট। শেষের দিকে ব্য়াট করেন ওবেড ম্য়াককয় ও রিয়ান পরাগ। শেষ ওভারে ব্যক্তিগত ৮ রানে রান আউট হন ম্যাককয়। শামির শেষ ডেলিভারিতে ব্যক্তিগত ১৫ রান করে বোল্ড হন রিয়ান পরাগ। ৯ উইকেটে ১৩০ করল রাজস্থান রয়্যালস।
রান তাড়া করতে নেমে লো স্কোরিং গেমে শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাট টাইটানসের। ৯ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ৫ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে বোল্ড ঋদ্ধিমান সাহা। এরপর ব্যাট হাতে ফের ব্যর্থ হন ম্যাথু ওয়েড। ২৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে গুজরাট টাইটানসের। ৮ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন ম্যাথু ওয়েড। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন হার্দিক পান্ডিয়া ও শুবমান গিল। রান কম থাকায় দুজন মিলে ঠান্ডা মাথায় ধীরে ধীরে গড়েন ইনিংসস। একেবারে বাজে বল পেলেই প্রহার করেন। না হলে ভরসা করেন সিঙ্গেলেরে উপর। বল হাতে কামাল দেখানোর পর ব্য়াট হাতেও মেগা ফাইনালে অধিনায়কোচিত ব্য়াটিং করেন হার্দিক পান্ডিয়া। শুবমান গিলের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৮৬ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে গুজরাটের। চাহলের অনবদ্য ডেলিভারিতে ৩৪ রান করে আউট হন হার্দিক। ততক্ষণে দল জয়ের দোরগোড়ায় চলে এসেছিল। এরপর ডেভিড মিলার ও শুবমান গিল মিলে এগিয়ে নিয়ে যান স্কোরবোর্ড। আক্রমণাত্মক ব্য়াটিং করেন মিলার। গিল মিলার জুটি ৪৭ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দেন। ১৮ ওভার ১ বলে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট। ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন গিল ও ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন মিলার। এই জয়ের ফলে ২০০৮ সালে রাজস্থান রয়্যালসের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে আইপিএল অভিষেক মরসুমে চ্যাম্পিয়ন হল গুজরাট টাইটানস।