বরোদার (Boroda) বিরুদ্ধে ম্য়াচ দিয়ে নতুন মরসুমের রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) অভিযান শুরু করল বাংলা ক্রিকেট দল (Bengal Cricket Team)। বাংলা দলে অভিষেক হল ইশান পোড়েলের (Ishan Porel) ভাই অভিষেক পোড়েলের (Abhishek Porel)। নজর কাড়লেন দুই ভাই।
বরোদার (Boroda) বিরুদ্ধে ম্য়াচ দিয়ে রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) অভিযান শুরু করল বাংলা ক্রিকেট দল (Bengal Cricket Team)। একইসঙ্গে বাংলা দলের হয়ে একসঙ্গে ম্য়াচ খেললেন 'পোড়েল ব্রাদার্স'। পেস বোলার ইশান পোড়েল (Ishan Porel) বিগত কয়েক মরসুম ধরে বামংলা হলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্য়াচে বাংলা দলে অভিষেক হল ইশান পোড়েলের ভাই অভিষেক পোড়েলর (Abhishek Porel)। দাদা-ভাইয়ের যুগলবন্দি দেখা গেল প্রথম দিনই। একদিকে যেমন ইশান পোড়েল ৪ উইকেট নিয়ে হলেন প্রথম ইনিংসে সোর্বেচ্চ উইকেট শিকারী। অপরদিকে, প্রথম ম্য়াচেই উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে তিনটি ক্য়াচ ধরেন অভিষেক পোড়েল। দাদা ইশানের বলেও ক্য়াচ ঘরে ভাই অভিষেক।
চন্দন নগরের পোড়েল পরিবারে খেলার পরিবেশ আগে থেকেই ছিল। পরিবারে অনেকেই এর আগে কবাডি খেলেছেন। তবে প্রথা ভেঙে ক্রিকেটকে বেছে নেন ইশান পোড়েল। ইশানের নিজের তুতো ভাই অভিষেকও দাদাকে দেখাদেখি ক্রিকেটকেই নেশা করে তোলে। ইশান আগেই বাংলা দলের নিজের অপরিহার্যতা প্রমাণ করেছেন। বাংলা দলে খেলার পাশাপাশি আইপিএলে গত মরসুমে পঞ্জাব কিংসে খেলেছেন। এবারও তাকে নিলামে দলে নিয়েছে পঞ্জাব কিংস। এবার বাড়ির অপর এক সদস্যও বাংলা দলের হয়ে রঞ্জি খেলার সুযোগ পাওয়ায় খুশির আবহ পোড়েল পরিবারে। দাদা-ভাইয়ের সাফল্যে খুশি পরিবারের সদস্য থেকে স্থানীয়রা সকলেই।
এর আগে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের রিজার্ভ প্লেয়ার হিসেবে সুযোগ পেয়য়েছিলেন অভিষেক পোড়েল। তবে খেলার সুযোগ হয়নি। ঋদ্ধিমান সাহা আগেই রঞ্জি খেলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন, শ্রীবৎস গোস্বামী দলে জায়গা পাননি। সাকির হাবিব গাঁধী এবং অভিষেক পোড়েলকে সুযোগ দেওয়া হয়। আর প্রথম ম্য়াচেই প্রথম একাদশে সুযোগ পান বাংলার অভিষেক পোড়েল। অভিষেকের হাতে বাংলার টুপি দেন দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা কিংবদন্তি ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। ব্য়াটিংয়ের সুযোগ না আসলেও, তিনটি ক্য়াচ ধরে নজর কাড়েন অভিষেক পোড়েল।
রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা ক্রিকেট দল শুরুটাও ভালোই করল। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। শুরুর দিকে উইকেট তুলে নিতে কিছুটা সময় লাগলেও, তারপর বাংলার পেসারদের দাপটে মাত্র ১৮১ অলআউট হয়ে যায় বরোদা দল। বরোদার হয়ে উইকেটকিপার মিতেশ প্যাটেল সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন। তা না হলে আরও কম রানে গুটিয়ে যেত বরোদার ইনিংস। বাংলার হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন ইশান পোড়েল। মুকেশ কুমার তিন উইকেট নিয়েছেন। ২টি উইকেট নিয়েছেন আকাশদীপ। একটি উইকেট নিয়েছেন শাহবাজ আহমেদ। দিনের শেষে বাংলার স্কোর ২৪ রানে ১ উইকেট।