রঞ্জি ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে ইডেন গার্ডেনে কর্নাটককে ১৭৪ রানে হারায় বাংলা। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ঘরের মাঠে গুজরাতকে ৯২ রানে হারাল সৌরাষ্ট্র। টুর্নামেন্টের ফাইনালে পূর্বের ও পশ্চিমের লড়াই দেখতে মুখিয়ে দেশের ক্রিকেট মহল।
সৌরাষ্ট্রের দেওয়া ৩২৬ রানের টার্গেট তারা করতে নেমে একসময় হার মেনে নেওয়া গুজরাট অবশ্য একসময় জয়ের স্বপ্নও দেখছিলো। বুধবার পার্থিব প্যাটেল এবং চিরাগ গাঁধীর জুটিতে ১৫৮ রান গুজরাতের জয়ের আশা জাগিয়ে রেখেছিল। কিন্তু সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনদকাটের অসাধারণ বোলিংয়ের সৌজন্যে জয়ের আশা ছাড়তে হয় গুজরাটকে। গুজরাট অধিনায়ক পার্থিব প্যাটেলকে সেঞ্চুরির থেকে মাত্র ৭ রান দূরে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙে দেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক। এরপর তিনি চিরাগকেও শতরানের দোরগোড়া থেকে ফিরিয়ে দলের জয় পুরোপুরি নিশ্চিত করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায় গুজরাত। ফলে ৯ তারিখ থেকে রাজকোটে শুরু হতে চলা ফাইনালে এই মুহুর্তে বাংলার সেরা পেসার ঈশান পোড়েলের সঙ্গে উনদকাটের লড়াই দেখতে পাবেন ক্রিকেট ভক্তরা।
সৌরাষ্ট্রের ঘরের মাঠেই রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে বাংলার মুখোমুখি হচ্ছে সৌরাষ্ট্র। গুজরাতকে ৯২ রানে হারিয়ে এই নিয়ে পরপর দুবার ফাইনালে উঠল সৌরাষ্ট্র। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন জয়দেব উনদকাট। সেইসঙ্গে তিনি রঞ্জি ট্রফিতে পেসার হিসেবে এক মরসুমে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার ২১ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন। সেমিফাইনাল পর্যন্ত এই মরসুমে ৬৫ উইকেট নেওয়া হয়ে গেল উনদকাটের। এখনও একটি ম্যাচ খেলবেন তিনি। তাই শেষ পর্যন্ত কটি উইকেট নেবেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
কর্ণাটকের প্রাক্তন পেসার ডোডা গণেশের রেকর্ড ভেঙে দিলেন তিনি। ১৯৯৮-৯৯ মরসুমে পেসার হিসেবে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন গণেশ। তিনি নিয়েছিলেন ৬২ উইকেট। ২১ বছর পরে সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন উনদকাট। তাঁর সামনে রঞ্জি ট্রফিতে এক মরসুমে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হওয়ার সুযোগও রয়েছে। ২০১৮-১৯ মরসুমে ৬৮ উইকেট নিয়েছিলেন আশুতোষ আমন। ফাইনালে বাংলার বিরুদ্ধে চার উইকেট নিলেই নতুন রেকর্ড গড়বেন উনদকাট। একইসঙ্গে তিনি লক্ষ্মীপতি বালাজি ও অনিকেত চৌধুরীর পর তৃতীয় বোলার হিসেবে রঞ্জি ট্রফিতে এক মরসুমে সাতবার পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর তিনশোর বেশি উইকেট নেওয়া হয়ে গিয়েছে।