বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সকলের ধারনা হয়েছিল রবীন্দ্র জাডেজার ফর্ম সম্পর্কে। বিশ্বকাপের শুরুতে ভারতের প্রথম ১১ জনের মধ্যে ছিলেন না তিনি। তবে সেমিফাইনালে তাঁর খেলা বুঝিয়ে দিয়েছিল যে তিনি একজন স্টার খেলোয়াড়। ভারত সেমি ফাইনালে হারলেও জাডেজার খেলা মনে থেকে গেছে সকলের। বিশ্বকাপের পর আবার ক্যারিবিয়ান সফরের টেস্ট সিরিজেও নিজের একই রকম পরিচয় দিলেন জাডেজা। ব্যাট হাতে এগিয়ে নিয়ে গেলেন ভারতকে। আর সঙ্গ দিলেন ভারতীয় পেসার ইশান্ত শর্মা। যিনি ভারতীয় দলের এক নম্বর বোলার হলেও সীমিত ওভারের খেলায় ধারে কাছে নেই জাতীয় দলের। তবে এই দুই খেলোয়াড়ই রক্ষা কর্তা হয়ে দাঁড়ালো ভারতীয় দলের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংস ২৯৭ রানে শেষ করেছে ভারত। ভারতের এই রানের পিছনে অবশ্যই রয়েছে টেস্ট দলের সহ অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানের লড়াকু ৮১ এবং রবীন্দ্র জাডেজার দুর্মূল্য ৫৮। দ্বিতীয় দিন ২০৩ রান, ৬ উইকেট নিয়ে খেলা শুরু করে ভারত। তবে লাঞ্চের আগেই সব উইকেট হারায় ভারত। দ্বিতীয় দিনের খেলা ঋষভ শুরু করলেও মাত্র ২৪ রানে আউট হয়ে যান তিনি। তাই তারপর ভারতের এক মাত্র ব্যাটিং ভরসা ছিল জাডেজা। আর সেই ভরসার যথেষ্ট মানও রাখলেন তিনি। ওপর দিক থেকে ক্রমাগত উইকেট পড়তে থাকলেও নিজের জায়গায় অটল ছিলেন জাডেজা। ক্রিজে তাঁর উপস্থিতি কিছুটা হলেও ভরসা জুগিয়েছিল ভারতীয় ব্যাটিং এ। তাই শেষ অবধি স্কোরটাও ভারতের জন্য ভরসাজনকই হল। তিনশো রানের কাছাকাছি গিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করল ভারত।
তবে ভারতের বোলিং আক্রমণও থেমে থাকেনি। আর সেই কাজের গুরুভার নিলেন ভারতীয় দলের অভিজ্ঞ বোলার ইশান্ত শর্মা। তাঁর অসাধারন সুইং আর লাইন-লেন্থের সামনে একেবারে অসহায় অবস্থা ছিল ক্যারিবিয়ানদের। সঙ্গে তাল মিলিয়েছিলেন মহম্মদ শামিও। এক এক করে ক্যারিবিয়ানদের আটটি উইকেট তুলে নেন তারা। ফলে ক্যারিবিয়ানদের স্কোর এখন ১৮৯ রান, ৮ উইকেটে। হিসাবমত দেখতে গেলে ১০৮ রানে এগিয়ে ভারত। তাই এক্ষেত্রে বলাই যায় যে বিশেষ কোনও বিপর্যয় না ঘটলে প্রথম ইনিংসেই বড় মাপের লিড পেতে পারে ভারত।