বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রোহিতের দুরন্ত ব্যাটিং দেখে সচিন তেন্ডুলকরের কথা মনে পড়ে গেল শোয়েব আখতারের। প্রাক্তন পাক তারকা মনে করেন, ব্যাটিংটা রোহিতের সহজাত প্রতিভা। পিচ বা বোলার যত ভালই হোন না কেন, নিজের দিনে যে কোনও বোলিং আক্রমণকে শাসন করতে পারেন ভারতের ডান হাতি ওপেনার।
রবিবার বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে বড় ভূমিকা নেন রোহিত। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ঝকঝকে শতরান করেন তিনি। ১১৯ রানের ইনিংস সাজানো ছিল আটটি চার এবং ছ'টি ছক্কা হাঁকান রোহিত। এই নিয়ে অস্ট্রেলিার বিরুদ্ধে অষ্টম শতরান করলেন রোহিত। সচিন তেন্ডুলকরের পরে বিরাট কোহলি এবং তাঁরই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি শতরান রয়েছে। দ্বিতীয় উইকেটে তাঁর এবং বিরাট কোহলির ১৩৭ রানের জুটি ভারতের কাজ অনেকটাই সহজ করে দিয়েছিল।
হিটম্যানের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ শোয়েব নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, 'রোহিত যখন ছন্দে থাকে তখন বলটা ভাল না খারাপ তা নিয়ে বিশেষ ভাবে না। কারণ ওর কাছে বলটা খেলার জন্য প্রচুর সময় থাকে। সেই কারণেই ওর শট খেলা দেখতে এত ভাল লাগে। ব্যাটিংটা ওর কাছে খুবই সহজাত বিষয়।'
রবিবার বেঙ্গালুরুতে অসি পেসার মিচেল স্টার্কের একটি বলে আপার কাট-এ ছয় মারেন রোহিত। যা দেখে শোয়েবের সচিন তেন্ডুলকরের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে শোয়েবকেও একই কায়দায় আপার কাট-এ ছয় মেরেছিলেন সচিন। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে শোয়েব বলেন, 'রোহিত কতটা নির্মমভাবে মারল, তা সবাই দেখছে। মেরে মেরে অস্ট্রেলিয়ানদের ভড়তা বানিয়ে দিয়েছে। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স কাউকেই রেয়াত করেনি রোহিত। ওর কাট শট দেখে আমার সচিনের মারা ছয়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।'
প্রসঙ্গত গত বছরই বিশ্বকাপের সময় পাকিস্তানের হাসান আলিকে রোহিত এভাবেই আপার কাটে ছয় মেরেছিলেন। তখনও তাঁর সেই শটের সঙ্গে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে শোয়েব আখতারকে মারা সচিন তেন্ডুলকরর ছয়ের তুলনা টানা হয়েছিল। রবিবারের ম্যাচের পর রোহিত নিজেই বলেন, 'এই ধরনের দিনে সবকিছু ঠিকঠাক হলেই তখন ভাল লাগে। এটা আমাদের জন্য নির্ণায়ক ম্যাচ ছিল। আমরা তাই খেলাটা উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। অস্ট্রেলিয়াকে ২৯০-এর নীচে বেঁধে রাখাটাই বড় কৃতিত্ব। কে এল আউট হওয়া পর ওই পরিস্থিতিতে বিরাটের থেকে ভাল আর কেউ ব্যাটিং করতে পারত না।'