প্রথম ম্যাচে কোনওমতে নেদারল্যান্ডসকে হারাতে পারলেও, টি-২০ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টসে হেরে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নেমে কোণঠাসা হয়ে গেল বাংলাদেশ। দুই ব্যাটার রিলি রসুউ ও কুইন্টন ডি ককের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে বিশাল স্কোর করল দক্ষিণ আফ্রিকা। অসাধারণ শতরান করলেন রসুউ। ডি কক ৩৮ বলে ৬৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। মূলত এই দু'জনের ব্যাটিং তাণ্ডবে ২০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে গেল প্রোটিয়ারা। তাদের স্কোর ৫ উইকেটে ২০৫। রসুউ ৫৬ বলে ১০৯ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা অবশ্য রান পাননি। তিনি ওপেন করতে নেমে ৬ বলে মাত্র ২ রান করেই ফিরে যান। ট্রিস্টান স্টাবস করেন ৭ রান। এইডেন মার্করাম করেন ১০ রান। ডেভিড মিলার ২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ওয়েন পার্নেল ০ রানে অপরাজিত থাকেন। রসুই ও ডি কক ছাড়া আর কোনও ব্যাটার বড় না পেলেও, প্রোটিয়াদের পক্ষে বড় স্কোর করতে কোনও সমস্যা হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষে এই রান তাড়া করে জয় পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।
চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবোয়ের মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে প্রোটিয়ারা জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিল। কিন্তু তারপর বৃষ্টির জন্য ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ফলে দু'দলই ১ পয়েন্ট করে পায়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ তাই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ জিতে রান রেটে ভারতের চেয়ে এগিয়ে থাকায় গ্রুপের শীর্ষে চলে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শাকিব আল-হাসানদের এই ম্যাচের পর অবশ্য সুপার ১২ গ্রুপ ২-এর অবস্থান বদল হতে পারে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার এই ম্যাচের ফলের দিকে ভারতীয় শিবিরও তাকিয়ে আছে। কারণ, এই দুই দলের বিরুদ্ধেই ভারতের ম্যাচ এখনও হয়নি। রবিবার পরের ম্যাচেই প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত। এরপর ২ নভেম্বর ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ। বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডস এবং তারপর দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় পেলে ভারতীয় দলের টি-২০ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে যাওয়া কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ৬ নভেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে অনেক চাপমুক্ত হয়ে মাঠে নামতে পারবেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ভারতীয় দল অবশ্য আপাতত একটি করে ম্যাচ নিয়ে ভাবছে। নেদারল্যান্ডসকে হারানোই এখন ভারতের প্রধান লক্ষ্য।
আরও পড়ুন-