এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে বেশ ভাল ফর্মে গতবারের রানার্স নিউজিল্যান্ড। সুপার ১২ গ্রুপ ১ থেকে সেমি ফাইনালে যাওয়ার পথে অনেকটা এগিয়ে গেল কিউয়িরা।
কোনওদিনই দলে মহাতারকা ক্রিকেটার বলে কেউ নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়ে আসছে নিউজিল্যান্ড। বিশেষ করে কেন উইলিয়ামসন অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে দলটা দারুণ ছন্দে। টেস্ট, ওডিআই, টি-২০, ক্রিকেটের সব ফর্ম্যাটেই গত কয়েক বছরে অন্যতম সেরা দল নিউজিল্যান্ড। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপেও সেভাবেই খেলছে কিউয়িরা। প্রথম ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৮৯ রানে উড়িয়ে দিয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেন ড্যারিল মিচেল, জেমস নিশমরা। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়ে গেলেও, শনিবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে সহজেই শ্রীলঙ্কাকে ৬৫ রানে হারিয়ে দিল নিউজিল্যান্ড। এই জয়ের ফলে ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে কিউয়িরা। ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ৩ ম্যাচ খেলে ৩ পয়েন্ট পেয়েছে। শ্রীলঙ্কার ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট। ফলে এই গ্রুপের শীর্ষে থেকে সেমি ফাইনালে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল কিউয়িদের।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। শুরুটা দেখে মনেই হয়নি কিউয়িরা এই ম্যাচ জিততে পারবে। ১৫ রানের মধ্যে চলে যায় ৩ উইকেট। ইনিংসের চতুর্থ বলেই আউট হয়ে যান ফিন অ্যালেন (১)। এরপর তৃতীয় ওভারে আউট হয়ে যান ডেভন কনওয়ে। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ফিরে যান অধিনায়ক উইলিয়ামসন (৮)। এরপর ইনিংসের হাল ধরেন গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারিল মিচেল। তাঁদের জুটিতে যোগ হয় ৮৪ রান। সিংহভাগ রানই করেন ফিলিপস। এই জুটিই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। মিচেল ২২ রান করে ফিরে গেলেও, ফিলিপস শেষ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থাকেন। তিনি অসাধারণ শতরান করেন। তাঁর ৬৪ বলে ১০৪ রানের ইনিংসে ছিল ১০টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা। মিচেল স্যান্টনার ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন। কিউয়িদের ইনিংসে মাত্র ৩ ব্যাটার ২ অঙ্কের রান করেন। তা সত্ত্বেও নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোর হয় ৭ উইকেটে ১৬৭।
রান তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। পঞ্চম বল থেকে উইকেট পড়া শুরু হয়। প্রথমে আউট হন পথুম নিশাঙ্ক (০)। এরপর দ্বিতীয় ওভারে ফিরে যান কুশল মেন্ডিস (৪)। এই ওভারেই ফিরে যান ধনঞ্জয় ডি সিলভা (০)। চতুর্থ ওভারে ফিরে যান চরিত আসালাঙ্কা। দলের ২৪ রানের মাথায় ফিরে যান চামিকা করুণারত্নে (৩)। এরপর লড়াই শুরু করেন ভানুকা রাজাপক্ষ (৩৪) ও অধিনায়ক দাসুন শনাকা (৩৫)। কিন্তু বাকিরা কেউই লড়াই করতে পারেননি। ফলে ১৯.২ ওভারে ১০২ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
আরও পড়ুন-