টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ (T20 World Cup 2021)-এর সুপার ১২ পর্বে ইংল্যান্ড (England) বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (West Indies) ম্যাচে খেলা শুরুর আগেই গ্যালারিতে পড়ল হাততালি। হাঁটু মুড়ে বসে পড়লেন দুই দলের ক্রিকেটাররা, কেন জানেন?
শনিবার, টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ (T20 World Cup 2021)-এর সুপার ১২ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের (England) বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies) খেলা শুরু হবে বলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস ওপেন করতে তৈরি ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডল সিমন্ডস এবং এভিন লুইসও। প্রথম বল করা জন্য তৈরি মইন আলি। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রথম বলটি পড়বে, ঠিক তার আগে মাঠের মধ্যে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন সকল খেলোয়াড়। আর গ্যালারিতে উপস্থিত অল্পসংখ্য়ক জনতা তা দেখে উল্লাস করে উঠল। কী ঘটল দুবাইয়ের মাঠে?
এই দৃশ্য অবশ্য গত কয়েক মাসে খেলার মাঠে অনেকবারই দেখা গিয়েছে। বর্ণবৈষ্যম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থন প্রকাশের প্রতীক হয়ে উঠেছে এই হাঁটু মুড়ে বসা। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেতাঙ্গ পুলিশের বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন জর্জ ফ্লয়েড। তাঁর গলার উপর হাঁটু মুড়ে বসে তাঁর শ্বাসরোধ করা হয়েছিল। সেই থেকে হাঁটু মুড়ে বসে বর্ণবিদ্বেষ, জাতি বিদ্বেষকে ধিক্কার জানায় গোটা পৃথিবীর মানুষ। এবার টি২০ বিশ্বকাপেও তা দেখা গেল। উদ্যোগটা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় ইংল্যান্ড দলও। ফ্যানরাও ক্রিকেটারদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
ম্যাচের আগেই খেলার আগেই অবশ্য জানা গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলার আগে হাঁটু মুড়ে বসে বর্ণবৈষম্য তথা জাতিভেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে। ইংল্যান্ড দলও জানিয়েছিল তারাও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে যোগ দেবে। অধিনায়ক ইয়ন মর্গান জানিয়েছিলেন, তাঁদের দলের সবসময়ই মনে হত, বিশ্বে পরিবর্তন আনতে পারে এমন কিছু করা দরকার। সুযোগ পেলে টুর্নমেন্টের প্রতিটি ম্য়াচের আগেই ইংল্যান্ড দল এই প্রতিবাদ জানাবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে ক্রিকেট মাঠেও বেশ কয়েকবার হাঁটু মুড়ে বসে বর্ণবাদবিরোধী বার্তা দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন টেস্টের সিরিজের প্রত্যেক ম্যাটের আগে দুই দলের খেলোয়াড়রা এভাবে হাঁটু মুড়ে বসেছিলেন। আয়ারল্যান্ড বনাম ইংল্যান্ড একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজের সময়ও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের পক্ষেও সমর্থন জানিয়েছিল।