রাঁধেন চিংড়ি মাছের মালাইকারি , গিটার বাজিয়ে গান শোনান বর ,পুজোর আড্ডায় খোলামেলা সোমলতা

  • সব বাঙালির মতো সোমলতাও খেতে খুব ভালবাসেন
  • ফ্রায়েড রাইস থেকে চিংড়ি মালাইকারী সব  নিজের হাতেই  বানান
  • প্রিয় মুহূর্ত,যখন তার বর গিটার বাজিয়ে তাঁকে গান শোনান
  • পুজোর সময়টায় কলকাতাকে খুব মিস করেন
     

এই মুহূর্তে প্রতিটা বাঙালিই  যার এক টুকরো গান শুনে আরাম পান,তার নাম সোমলতা।তার গান ফোনের রিংটোনে হোক কিংবা লাইভ ,পারলে ফিরে ফিরে শোনেন সব বাঙালি। তিনি যেমন সবার প্রিয় গায়িকা,ঠিক তেমনই তিনি তার ছাত্রছাত্রীদের প্রিয় শিক্ষিকা।গান গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে   আশুতোষ কলেজে তিনি সাইকোলজি পড়ান।আর তারপর সুযোগ পেলেই গানে আর আনমনে হারিয়ে যান কোনও অজানা এক দেশে। আর পুজোর প্রাক্কালে,সেই সব মনের কথাই আমাদের সংবাদ মাধ্যমকে, জানালেন সোমলতা। 

আর দশটা বাঙালির মতো সোমলতাও খেতে খুব ভালবাসেন ।তারপর তার মা-ও  যদি  রান্না করতে ভালবাসেন,তাহলে তো সোনায় সোহাগা। বাড়িতে লতি,সুক্ত,কচু বাটা থেকে শুরু করে নারকেল বাটা দিয়ে কষা মাংস সবই জমিয়ে রান্না হয়।অবশ্য তিনি নিজেও ভালো রান্না জানেন। ফ্রায়েড রাইস থেকে চিংড়ি মালাইকারী সব রান্নাই খেয়ে তার বর বলেন, বাহ বাহ।তবে দেশের বাইরে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে,সেখানকার স্পেশাল ডিশ চেখে দেখার ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই।কারন সেখানকার প্রবাসী বাঙালিরা ভালবেসে সেই বাঙালি খাবারই খাওয়ান।তখন আর কি না ভালবেসে উপায় থাকে।তাই ভালবেসে সেটাই খেয়ে নেন তখন সোমলতা। এর পরেও মাঝেমাঝে তার ডায়েট করতে ইচ্ছে হয়।আর সেই জন্যই বোধয় তিনি পেটুক বাঙালিকে মেদ-মুক্তির পথ দেখালেন একগাল মিষ্টি হেসে।  

Latest Videos

 

তার কথা অনুযায়ী, লোকে বলে মেয়েদের জামা কাপড় কিনতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু তার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা পুরো উল্টো।হেসে জানালেন, তার যদি লাগে মাত্র ২-মিনিট,সেখানে তার বরের লাগে ৫ ঘণ্টা।অবশ্য তিনি সময়ও তেমন পান না,তাই পুজোর একবারে দোরগোড়ায় একটা দিনেই সব কেনাকাটি সেরে নেন। শাড়ি পড়তে তিনি  ভালবাসেন।অবশ্য অনুষ্ঠান করতে গিয়ে অন্যান্য আরামদায়ক পোশাকই বেছে নেন। তবে সারাবছরই যে তিনি খুব ব্যস্ত থাকেন এমন টা নয়।যে সময় অনুষ্ঠান কম থাকে অর্থাৎ অফ সিজনে তিনি এক অন্য সোমলতা।  আজ্ঞে হ্যাঁ তার ভাললাগা মুহূর্ত গুলির মধ্যে অন্যতম হল, যখন তার বর গিটার বাজিয়ে তাঁকে গান শোনান। শুধুই শুনতে ভাল লাগে তখন তার ,আর মাঝেমাঝে আলগোছে বরের সাথে গলা মেলাতে ভাল লাগে।

নিজেই জানালেন,হঠাৎ যদি কোনও নতুন জায়গায় যান,চুপচাপই  থাকেন।তখন মনোযোগ দিয়ে চারিপাশটা বরং দেখতে ভাল লাগে।কিন্তু সামনে থাকা অচেনা মানুষটা যদি একবার আন্তরিক ভাবে কথা বলা শুরু করিয়ে দেন,তাহলে বেশ ভালই লাগে তখন একভাবে কথা বলতে। যাইহোক,পুজোর সময়টায়  কলকাতাকে খুব মিস করেন সোমলতা।কিন্তু জেনে বুঝেই যে এই পথে এগোনো,নিজেই মানেন সেটা।তাই মোটেই মানিয়ে নেওয়া নয় বরং দেশের বাইরে গেলে প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে তাদের মতো করে সেখানকার পুজো উপভোগ করতে ভালবাসেন। আর ২০১১ থেকেই সেই ঐতিজ্য চলছে।তবে অবশ্যই চলুক চলুক,সেই ঐতিহ্য আরও এগিয়ে চলুক। আলোকবর্ষ হোক সোমলতার গানের সফর।      

Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari Live: এগরায় জনসভা শুভেন্দুর, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি
Dev Adhikari : এবার কী আসছে খাদান ২? খাদান সাফল্য পেতেই বড়সড় ঘোষণা দেব-যীশুদের
Narendra Modi : 'কুয়েত যেন মিনি হিন্দুস্তান', কুয়েত সফরে এসে কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?
‘Bangladesh-কে মারতে হবে না চোখ দেখালেই যথেষ্ঠ’ বাংলাদেশকে ধুয়ে দিলেন Dilip Ghosh | Bangladesh News
অনলাইনে পুজোর দেওয়ার নামে প্রতারণা! ঘাড় ধরে নিয়ে গেল পুলিশ | Hooghly News Today