নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বদলি হওয়া পুলিশ অফিসারদের স্বপদে ফেরালেও স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে আর পুরনো দায়িত্বে ফেরালো না নবান্ন। তাঁর বদলে নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন শিল্প দফতরের সচিব ছিলেন আলাপন। একই সঙ্গে মাঝারি এবং ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন তিনি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির হাল ধরতে অভিজ্ঞ এই অফিসারের উপরেই ভরসা রাখল নবান্ন। এর আগে পরিবহণ দফতরের সচিব হিসেবেও দীর্ঘদিন সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন আলাপন।
প্রসঙ্গত শেষ দফার ভোটের আগে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। তাঁর বিরুদ্ধে ভোট প্রক্রিয়ায় নাক গলানোর অভিযোগ উঠেছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে অত্রিকে আর তাঁর পুরনো পদ ফিরিয়ে দিল না নবান্ন। আপাতত তাঁকে পর্যটন সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্যের সরকারের কাজের পর্যালোচনা করতে আগামী ৭ জুন নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে সমস্ত জেলার ডিএম এবং এসপি-দের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। পুলিশ কমিশনারেটগুলির কমিশনারদেরও বৈঠকে হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। গত কয়েকমাস ধরেই নির্বাচনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকায় সরকারি সব কাজই আটকে ছিল। অন্যদিকে রাজ্যে বিজেপি-র বাড়বাড়ন্তেও উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা এখনও বন্ধ হয়নি। এই অবস্থায় পুলিশ, প্রশাসনের কর্তাদের ডেকে কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দিতে পারেন মমতা।
আগামী বছর পুরসভা নির্বাচন, তার পরেই ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচন। এই দু' বছরের মধ্যে রাজ্যবাসীর কাছে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করাই মমতা সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। তাই কোনওভাবেই আর সময় নষ্ট করতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে পঞ্চায়েত দফতরের প্রাক্তন সচিব সৌরভ দাসকে। একই সঙ্গে ফের একবার ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল।