রাজীব-সুদীপ্ত সংলাপ শুনছে সিবিআই, নজরে আরও ছয় পুলিশকর্তা

  • সিবিআই-এর দাবি, ২০১০-১৩ সালে বিধাননগর কমিশনারেটে কর্তব্যরত থাকাকালীনই রাজীব সিবিআই কথাবার্তা হত।
  • কিন্তু এই কথাবার্তা কি সিটের দায়িত্ব পাওয়ার পরেও চলেছ? 

arka deb | Published : May 18, 2019 10:06 AM IST

সিবিআই-এর দাবি তাঁরা কম বেশি পাঁচটি নম্বরে ফোনের রেকর্ড শুনেছেন। এই ফোনালাপের এ প্রান্তে ছিলেন সারদা মালিক সুদীপ্ত সেন এবং তার ডান হাত, অন্য প্রান্তে ছিলেন প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিবিআই-এর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন,  প্রমাণ লোপাটে রাজীব কুমারের সক্রিয় ভূমিকা প্রমাণ করতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে সিবিআই। 

সূত্রের খবর, ২০১০-১৩ সালে বিধাননগর কমিশনারেটে কর্তব্যরত থাকাকালীনই রাজীব সিবিআই কথাবার্তা হত।  কিন্তু এই কথাবার্তা কি সিটের দায়িত্ব পাওয়ার পরেও কথাবার্তা চলেছ? মুখ খুলতে চাননি সিবিআই সূত্র।

প্রথম থেকেওই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে একঘরে করতে সারদা কাণ্ডকেই বেছে নিয়েছে ভারতীয় জনতা দল। বলাই বাহুল্য সিবিআই তদন্তের গতিবিধি তাঁদের সুবিধে পাইয়ে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে সিবিআই-এর নিরপেক্ষতা নিয়েও। কাঁটা দিয়ে কাটা তুলতে সিবিআই-এর প্ৰধান অস্ত্র একদা মমতার ছায়াসঙ্গী মুকুল রায় আজ রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখ। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রধান ইস্যুই করেছে এই সারদাকে। বারবার মোদী-শাহ জুটি রাজ্যে এসে হুল বিঁধিয়েছেন এই ইস্যুতেই।

প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভোডাফোন ও এয়ারটেল রাজীবের কল ডেটা শেয়ার করেছে সিবিআই-এর সঙ্গে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে এমন পাঁচটি নম্বরে কথা বলেছেন রাজীব যা সুদীপ্ত সেন ও তার ঘনিষ্ঠ দেবলীনা মুখোপাধ্যায়ের।

প্রসঙ্গত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার এই বিরাট দুর্নীতিতে শুধু রাজীব কুমার নয়, সিবিআই-এর চোখ রয়েছে আরও ৬ জন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের ওপরেও। তাঁদের একজন আবার সিবিআই-এরই প্রাক্তন। তিনিই নাকি রাজ্য পুলিশকে পথ দেখিয়ে এসেছেন কী ভাবে সিবিআই-কে ঘোল খাওয়ানো যায়। 

কিন্তু শেষরক্ষা হবে তো, রাজীবের মতোই তাঁদের বাঁচাতেও ধর্ণা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কানাঘুষো চলছে। 

Share this article
click me!